দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বারাসতের তিনবারের বিধায়ক এবং টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। রবিবার বারাসত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত একটি জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তিনি বলেন, “আমার অনেক বয়স হয়েছে। তাই মনে হয় সময় এসেছে হস্তান্তরের। এখন আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই।” এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি আর প্রার্থী হতে চান না। দীর্ঘ ১৫ বছর বারাসতের মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার পর এবার তিনি অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁর মন্তব্যে এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট।
বারাসত পুরসভার ‘হ্যালো কাউন্সিলর’ অ্যাপ উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে চিরঞ্জিত বলেন, “প্রথমবার সুপারস্টার চিরঞ্জিত জিতেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়, তৃতীয়বার তো সেটা হবে না। মানুষ আমাকে যাচাই করেছে। আমি বুঝেছি বারাসতের মানুষ আমাকে পছন্দ করে, সম্মান করে। কিন্তু এখন বয়স হয়েছে, তাই নিজের মতো বাঁচতে চাই।” তিনি আরও জানান যে, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও শেষ সিদ্ধান্ত দলনেত্রীর হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। চিরঞ্জিত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি অনুরোধও করেছি। উনি বলেছেন এখনও এক বছর বাকি আছে। যদি মুখ্যমন্ত্রী বলেন থাকতেই হবে, তাহলে আমি ভাবব।” তাঁর বক্তব্যে আরও একবার উঠে আসে রাজনীতির প্রতি অনীহা। বলেন, “আমি রাজনীতিতে আগ্রহী নই। আমার কাজ সিনেমা করা। যারা রাজনীতি করতে আগ্রহী, তাঁদেরই করা উচিত।”
বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিতের এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে বারাসত থেকে নতুন মুখের খোঁজে নামতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শেষ কথা বলবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এখন দেখার, চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর এই অবসরের ইচ্ছে দলে কতটা প্রভাব ফেলে।