দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : শরীরে কোলেস্টেরলের প্রয়োজন রয়েছে। এটি একেবারে খারাপ কিছু নয়। সুস্থ কোষ তৈরিতে কোলেস্টেরল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই শরীরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়।
তবে সমস্যা তখনই শুরু হয়, যখন শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে যায়। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে গিয়ে সেগুলো সরু করে দেয়, যার ফলে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। এতে হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা বিপজ্জনক অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আজকের দিনে এই সমস্যা আরও বেড়েছে আমাদের অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে। বেশি তেল-মসলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, মানসিক চাপ ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব—এসবই কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী।তাই সচেতনতা খুব জরুরি। কোলেস্টেরলকে শত্রু না ভেবে, তাকে সঠিক মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।
কোলেস্টেরল মোমের মতো পদার্থ, যা অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে বেড়ে যায় এবং শিরায় জমা হতে শুরু করে। কোলেস্টেরলের কারণে ধমনীতে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। এ কারণে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো বিপজ্জনক রোগ হতে পারে। এই ৫টি খাবারেই মিলবে মুক্তি! কোলেস্টেরল থাকবে আয়ত্তে
১)ওটস ড্রিঙ্ক-
ওটস একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। যাতে বিটা গ্লুকান পাওয়া যায়। যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই প্রতিদিন ওটস ড্রিংকস পান করুন।
২)গ্রিন টি -
গ্রিন টি-তে ক্যাটেচিন এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর।
৩)সয়া মিল্ক -
সয়া দুধের মাধ্যমে আপনি অবাঞ্ছিত কোলেস্টেরল কমাতে পারেন এবং এটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ গ্রাম সয়া দুধ খান।
৪)টমেটো জুস -
টমেটোতে লাইকোপিন নামক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা আপনার শরীরে লিপিডের মাত্রা উন্নত করে। টমেটোর রসে কোলেস্টেরল কমানোর ফাইবার এবং নিয়াসিন থাকে, তাই প্রতিদিন এক গ্লাস পান করুন।
৫)বেরি স্মুদি-
বেরি স্মুদিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, এই পানীয়গুলি স্বাস্থ্যকর এবং খেতে সুস্বাদু।