কলকাতা, ১৯ আগস্ট : “সত্যকে ভুলে গিয়ে মিথ্যেকে মুখস্থ করতে হবে”, ইসলামকে এই ভাষায় কটাক্ষ করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তিনি মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “বাংলাদেশ নামের জিহাদিস্থানে ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের বিরুদ্ধে লোক লেগেছে, স্কুলের নবম-দশম শ্রেণীর পাঠ্যবই থেকে নাকি বিবর্তন তত্ত্ব অর্থাৎ প্রমাণিত জৈব সত্য উঠিয়ে নেওয়া হবে, বা মুছে ফেলা হবে। ঢোকানো হবে মানবজন্ম নিয়ে রচিত কাল্পনিক রূপকথা, আদম হাওয়ার গপ্প। সত্যকে ভুলে গিয়ে মিথ্যেকে মুখস্থ করতে হবে। বিজ্ঞানকে লাথি মেরে ধর্মকে চুমু খেতে হবে। ধর্ম যখন একটা জাতির পতন ঘটাতে থাকে, তখন বোধ হয় কেউ তা রোধ করতে পারে না।”
পোস্ট করার চার ঘন্টার মধ্যে, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “ধর্মীয় শাসনে তাই হয়। ওরা মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিতে চায়!
সমীর সরকার লিখেছেন, “পরীক্ষায় আদম হাওয়ার গল্পের উপর কোনো প্রশ্ন এলে আগামী প্রজন্ম হয়তো উত্তরে লিখবে, "এ সবিই কাল্পনিক, বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই সুতরাং এ ধরণের প্রশ্ন বাতিল করা হোক।”
এ সম্পর্কে আফসানা রুবীর প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে সমীর সরকার লিখেছেন, “এমনও হতে পারে পরীক্ষা কক্ষেই আদম হাওয়ার গল্পের প্রশ্নের পরিবর্তে অন্য প্রশ্নের দাবী উঠবে। বর্তমান প্রজন্ম কিন্তু অনেক সচেতন শুধু প্রকাশ করতে পারছে না। এদের সংখ্যাটা যখন ধর্মান্ধদের সমান হবে তখনই চলবে Tit for Tat. শুধু সময়ের অপেক্ষা। দেখে যাবেন। mind it.”
ভাস্কর নাথ লিখেছেন, “এক দিন না একদিন যখন মুসলিম বিশেষ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে তাদেরকে ধর্ম দিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে বিজ্ঞান থেকে তাদের ঠকানো হচ্ছে রূপকথার গল্প মাই হাওয়া বাবা আদমের কেচ্ছা দিয়ে, সে দিন মুল্লা গুষ্টির আর রক্ষা নাই তাদেরকে পদ্মা নদীর জলে নাকানি চুবানি দিয়ে ডুবিয়ে মারবে।” মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম লিখেছেন, “কোরান হাদিস ছাড়া আর কোনো বিষয় বাংলাদেশের মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকে রাখা উচিত নয়।”