দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সল্টলেকের একে ব্লকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এক ডেলিভারি বয়ের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছে সৌমেন মণ্ডল নামে এক ডেলিভারি কর্মীর। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে সময়মতো দমকল না পৌঁছনো এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জেরেই এই ভয়াবহ পরিণতি। আর তা নিয়েইরীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেক, ঘটে জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ। এই ঘটনায় সল্টলেকের একে ব্লকে জারি ধরপাকড়। মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হল সুরজিৎ সরকার, সায়ন ঘোষ, আকাশ দাস, মিঠুন হালদার ও রাহুল সরকার। কেষ্টপুরের সিদ্ধার্থ কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঘটনা বুধবার বিকেলের। সল্টলেক একে ব্লকের কাছে একটি নতুন তৈরি ব্রিজের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা মারে একটি চারচাকা গাড়ি। গাড়িটিতে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে ও মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। রাস্তাতেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় গাড়িটি। এই সময় রেলিংয়ের ঠিক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ডেলিভারি বয় সৌমেন মণ্ডল। সঙ্গে ছিল তাঁর বাইক। বিস্ফোরণের অভিঘাতে তিনি রেলিংয়ের সঙ্গে আটকে পড়েন। গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করা গেলেও, সৌমেনকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তিনি ঘটনাস্থলেই জীবন্ত পুড়ে মারা যান।
ঘটনার পর পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, দমকল বিভাগকে খবর দেওয়ার পরেও দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায় দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে। সেই সময়ের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। দেরিতে পৌঁছনোর কারণে ক্ষুব্ধ জনতা দমকল কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করেন। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকাপয়সা নিতে ব্যস্ত পুলিশ। অথচ পথ নিরাপত্তার বিষয়ে কোনও গুরুত্ব নেই। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ডেলিভারি বয়কে উদ্ধার না করে পুলিশ ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিল বলেই অভিযোগ। প্রতিবাদে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়ে বলেই অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। এই ঘটনায় গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ধৃত আরও ৫।