দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসে আবেগমগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণা করলেন এবং কিভাবে তিনি ছাত্র আন্দোলনের সময় অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছেন তা সকলের সামনে তুলে ধরলেন।
বৃহস্পতিবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একটা ঘটনার কথা বলি। একবার একটা ঘটনায় আমাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। কোনওরকমে পালিয়ে আসি। বক্সিদা-রা ছিলেন। হঠাৎ দেখি দুটো ছাত্র পরিষদের ছেলেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ওদের থাপ্পড় মেরে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিলাম।” মমতা জানান, এরপর পাইপগান নিয়ে তাঁকে তাড়া করে দুষ্কৃতীরা। প্রাণ বাঁচাতে ভবানীপুরের একটি রেস্তোরাঁয় ঢোকানো হয় তাঁদের।
এরপর হাজরার অশান্তির স্মৃতিচারণা করেন তিনি। বলেন, “হাজরায় একবার আমার মাথায় মারল। দেখছি, রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আমার মাথায় অপারেশন, ৪৬ টা সেলাই। ব্রেন অপারেশন হল। হাতের হাড় ভেঙে দিয়েছে।” একবার তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল বলেও দাবি করলেন মমতা। বললেন, একজন হাত তোলায় বরাতজোরে প্রাণ বেঁচেছিল তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, এত অত্যাচারের পরও তিনি লড়েছেন, মানুষের পাশে থেকেছেন। আগামীতেও এভাবেই লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। প্রসঙ্গত, এদিনের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, জয়া দত্ত-সহ একাধিক নেতারা ছিলেন।