দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের মঞ্চ থেকে ফের এসআইআর ইস্যুতে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “জীবন থাকা পর্যন্ত কারও ভোটাধিকার কেড়ে নিতে দেব না।” পাশাপাশি বিজেপি ও বামেদেরও কড়া তিরস্কার করেন। কেরলে নেতাজি সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়াকে উল্লেখ করে বামেদের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আর বিজেপিকে বিঁধেন এসআইআর, শ্রমিকদের হেনস্থা ও পরিবারতন্ত্র নিয়ে। নির্বাচন কমিশনকেও আক্রমণ করে বলেন, “আমি সব এজেন্সিকে সম্মান করি, কিন্তু বড়রা ললিপপ নিলে তা মান্য নয়।”
বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন। ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাদিবসে সেই সুর আরও চড়ালেন। বিহারে এসআইআরের পর বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন হবে বলে জল্পনা। তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন, এসআইআরের নামে বিজেপি সরকার এনআরসি করতে চাইছে। মঞ্চ থেকে বললেন, “এনআরসি করে ভোটার নাম কাড়ার চেষ্টা। জীবন থাকতে ভোটাধিকার কাড়তে দেব না।” আরও অভিযোগ তোলেন, বিজেপিকে ডিএম, বিডিওদের ভয় দেখাছে। ললিপপ দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা ললিপপ বাচ্চাদের দিই। ১৮ বছরের নতুন ভোটারদের ললিপপ দিই না। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রধান করি। তাই আপনাদের জোর জুলুম বাংলা মানছে না, মানবে না। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি ছাড়েনি, ছাড়বে না।”
এরপরই ভিন রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের হেনস্তার প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। বলেন, “আপনারা মানুষের অধিকার কেড়ে নেন। ক্ষমতা বিসর্জন দেন। বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে গরীব মানুষগুলোর উপর অত্যাচার করেন। গরীব মানুষ আমার হৃদয়, তাঁদের ভালোবাসি। আমি জাত-পাত মানি না।”
অন্যদিকে, বাম শাসিত কেরলে পড়ানো হচ্ছে নেতাজি ইংরেজদের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন এই দাবি তুলে,তাদের রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বেঁধেন নির্বাচন কমিশনকেও। বলেন, “ইলেকশন কমিশনের চেয়ারকে সম্মান করি। কিন্তু বড়রা যদি ললিপপ খায় তাহলে মানায় না।”