দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক কাপ চা পান করেন, সঙ্গে বিস্কুট না হলে যেন চলেই না। চা খেয়েই ঘুম কাটিয়ে বিছানা ছাড়েন। এরপর অফিসের তাড়া থাকলে সকালের খাবার সেরে স্নানে চলে যান। অনেকেই স্নানের সময়ই দাঁত মেজে নেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, দাঁত না মেজে কিছু খাওয়া কি স্বাস্থ্যসম্মত?
নিয়ম করে দাঁত মাজাটা জরুরি। অন্ত্রের পর মুখগহ্বর হল জীবাণুর আতুঁড়ঘর। দাঁতের ফাঁকে খাবারের অবশিষ্ট অংশ জমা হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন খাবারের টুকরো জমতে জমতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয়। যা মুখের ভিতরে সংক্রমণজনিত সমস্যা ডেকে আনে। দাঁতের ক্ষয় হয়। মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। তাই দিনে দু’বার করে দাঁত মাজার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সারা দিনে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার দাঁত মাজা উচিত। সকালে এক বার এবং রাতে আর এক বার। আসলে খাবার খাওয়ার পরই দাঁত মেজে নেওয়া ভাল। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয় না। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত এক বার ব্রাশ করতেই হবে। এই নিয়মটা রোজ মেনে চললে রোজ সকালে উঠেই যে আপনাকে আগে দাঁত মেজে ফেলতে হবে, এমনটা নয়। বদলে সকালের জলখাবার খাওয়ার পর দাঁত মাজা অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজা যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়, বাস্তবে ততটা উপকারি নয়। বরং রাতে খাওয়ার পর দাঁত মেজে ঘুমানো অনেক বেশি জরুরি। কারণ, রাতের খাবারের পর দাঁত না মাজলে দীর্ঘ সময় ধরে মুখে ক্ষতিকর জীবাণু জমে থাকে, যা দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই সকালে উঠে দাঁত মাজলেও আগের ক্ষতি পূরণ হয় না। অন্যদিকে, রাতে দাঁত মেজে ঘুমালে মুখে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়, যা শরীরের জন্য ভাল। সকালে দাঁত না মেজে পানি পান বা হালকা কিছু খেলে এই ভাল ব্যাক্টেরিয়াগুলি খাবারের সঙ্গে অন্ত্রে পৌঁছে গিয়ে হজমে সাহায্য করে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এমনকি, শরীরে ভিটামিন বি১২ উৎপাদনেও সহায়ক ভূমিকা নেয়।