দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আগরতলা বিমানবন্দরে তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলকে আটকে দেওয়া ও ট্যাক্সি ধরতে না দেওয়ার ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফর শেষে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই হুঁশিয়ারি দিলেন, “আমি যাব, দেখি কার কত দম।”
এদিন দুপুরে দমদম বিমানবন্দরে নেমে ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর ও তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে আটকানোর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় আমাদের টিমকে প্রিপেড ট্যাক্সিও দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে আমি হেঁটে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।” বিজেপির প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগড়ে মমতা বলেন, “আগে নিজের ঘরের দিকে তাকান।” এরপর সুর চড়িয়ে বলেন, “সেরকম হলে আমি যাব। দেখি কার কত দম।”
মঙ্গলবার ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরে ফুঁসছে বাংলার শাসকদল। বিজেপির লোকজন ওই কাজ চালিয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুলিশ সেই ঘটনা না আটকিয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল রাতেই ত্রিপুরায় প্রতিনিধি দল পাঠানোয় সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। বুধবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী ত্রিপুরা পৌঁছয় তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা, সুদীপ রাহা, সায়নী ঘোষ। আইনশৃঙ্খলার অবনতির অজুহাতে বিমানবন্দরে বাধার মুখে তাঁরা। অভিযোগ, ত্রিপুরা বিমানবন্দর থেকে কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের জন্য চারটি গাড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা পৌঁছে জানতে পারেন, একটি মাত্র গাড়ি রয়েছে। এদিকে পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যে একবারেই সকলকে যেতে হবে।স্বাভাবিকভাবেই তা অসম্ভব। কুণাল ঘোষ এগিয়ে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি। এরপর বিমানবন্দরের বাইরে থাকা প্রিপেড ট্যাক্সিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা হওয়ায় তাঁদের প্রিপেড ট্যাক্সিও বুক করতে দেওয়া হয়নি। এমনকী মিলছে না অটোও!
দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেও সমাধান সূত্র না মেলায় আগরতলা বিমানবন্দরের বাইরে ধরনায় বসেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আগরতলার ওই কার্যালয় পরিদর্শনে হেঁটে যাবেন প্রতিনিধিরা। সেই কথাও বলা হয়েছিল। যদিও সেক্ষেত্রে ত্রিপুরা পুলিশের থেকে প্রতি পদে বাধা আসে বলে অভিযোগ।