দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি’ ভাষার তকমা দেয়ার অভিযোগে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এর মাঝেই মঙ্গলবার দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর নেতাজি ভবনে অনুষ্ঠিত বিজেপির কর্মী সম্মেলনে চটুল হিন্দি গানে ‘জাত গোখরো’ বলে মিঠুন চক্রবর্তীকেই স্বাগত জানান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
জানা যায়, নেতাজি ভবনে মিঠুন পৌঁছনোমাত্র মঞ্চ থেকে সাউন্ড বক্সে বেজে ওঠে ‘মুঝকো পিনা হ্যায় পিনে দো’। শুধু গান বাজাই নয়, রীতিমতো প্রবল খুশিতে নাচতে শুরু করে দেন সম্মেলনে উপস্থিত বিজেপি কর্মীরাও। ভাষা বিতর্কের মধ্যেই বিজেপি কর্মী সম্মেলনে হিন্দি গানের সঙ্গে কর্মীদের নাচানাচির ঘটনায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। দাবি, বিজেপির রাজনীতি বুঝি এখন নেশায় চুর?
বছর ঘুরলেই বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। বাংলাজুড়ে ‘নড়বড়ে’ বিজেপির সংগঠনকে নাড়া দিতে বঙ্গ বিজেপির ভরসা এখন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে কর্মী সম্মেলন করছেন। নেতা-কর্মীদের অভাব অভিযোগ শুনছেন। পালটা দেওয়ার দাওয়াই দিয়ে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি নেতা। এরমধ্যেই নয়া বিতর্ক। যখন ভাষা বিতর্কে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি, পথে নেমে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূল, তখন কর্মী সম্মেলনে হিন্দি গানের সঙ্গে মিঠুনকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।
এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “এখন ভোট চাওয়ার আগে বোতল চাইছে বিজেপি। দল তো আগেই হোঁচট খাচ্ছিল, এবার গান শুনে পুরো দুলে যাবে।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রাজনীতির মঞ্চে মদ্যপানের গান বাজানো মানে মানুষের সমস্যাকে উপহাস করা।”
পালটা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, “গান মানেই নেশা নয়। এটি শুধুই বিনোদনের জন্য বাজানো হয়েছে। তৃণমূল দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র দিল্লিতে কী করেছে সেটা সবাই দেখেছে। আর এখানে তৃণমূল রাজনীতি না পেলে গানেও রাজনীতি খুঁজে পায়।”
বলে রাখা প্রয়োজন, ১৯৯৩ সালের মিঠুন অভিনীত বলিউড ছবি ‘ফুল অউর অঙ্গার’-এর এই গান সিনেমায় ছিল রাগ-হতাশায় ডুবে নায়কের নেশায় হারিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত। কিন্তু রাজনৈতিক মঞ্চে সেই গান ঘিরেই তৈরি হয়েছে চরম বিতর্ক।