Breaking News
 
Mamata Banerjee: তৃণমূল টিমকে আটকানোর পরেই মমতার কড়া হুঁশিয়ারি: ‘আমি নিজে যাব, কত দম আছে দেখব!’ Mamata Banerjee:ছটপুজোর প্রসঙ্গ টেনে মমতার আক্রমণ: 'বিহারের জন্য ছাড়, আর উত্তরবঙ্গের ভাড়া ১৮ হাজার! এটা কি বৈষম্য নয়?' Tripura:‘গান্ধীবাদ’ ছেড়ে এবার ‘সুভাষ’ হওয়ার ডাক! ত্রিপুরায় ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে সরব তৃণমূল TMC: আটক তৃণমূল প্রতিনিধি দল, পুলিশি বাধার মুখে ত্রিপুরা বিমানবন্দর কাঁপল 'সন্ত্রাস' বিরোধী স্লোগানে! Mamata Banerjee : হামলার পর রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা, মমতার হুঁশিয়ারি— ‘শান্ত থাকুন, উসকানিতে পা দেবেন না’ CM Mamata Banerjee:দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ— ‘জীবন আগে, দ্রুত নিরাপদ স্থানে যান’

 

West Bengal

1 year ago

Asansol: বরাকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মোমবাতি, টর্চের আলোয় প্রসব!

Baby Delivery (Symbolic Picture)
Baby Delivery (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বরাকরের আর্বান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে মোমবাতি, টর্চের আলোয় সন্তান প্রসব হলো। আসানসোল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা বুধবার বিকেলে ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। তারপর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরে আসে ভীর রাতে বা বৃহস্পতিবার ভোরে। তবে এদিন বিকেল পর্যন্ত আসেনি বিদ্যুৎ আসেনি কুলটির কিছু এলাকায়। বরাকরের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এই অঞ্চলের আওতাতেই পড়ে।

বুধবার রাতে সন্তান প্রসবের জন্য মোমবাতির ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালের ইন-চার্জ চিকিৎসক অনির্বাণ রায়ের কথায়, ‘বার বার খবর দেওয়ার পরেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। কেউ বলতে পারেননি কখন বিদ্যুৎ আসবে।’ মোমবাতির আলোয় সন্তান প্রসবের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিরকুন্ডার এক মহিলা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। মোমবাতি জ্বালিয়ে টর্চের আলোয় তাঁর সন্তান প্রসব করানো গিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় সদ্যোজাত ও মাকে নিয়ে চলে গিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা। এদিনও একজন প্রসবের জন্য এসেছিলেন কিন্তু, পরিস্থিতি দেখে পরিজন তাঁকে নিয়ে চলে যান আসানসোল জেলা হাসপাতালে।’তিনি জানান, ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত কাইমুদ্দিন আনসারি নামে এক রোগীও অন্যত্র চলে গিয়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা বিভিন্ন ভ্যাকসিনের গুণমান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। পোলিও, হেপাটাইটিস বি সমেত বহু ভ্যাকসিন ডিপ ফ্রিজে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় থাকার কথা।

হাসপাতালের ইন-চার্জ বলেন, ‘এই সমস্ত মূল্যবান ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন বৃহস্পতিবার সকালে জেলার সিএমওএইচকে জানিয়ে তাঁর দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। যাতে সেখানে ফ্রিজে রাখার বন্দোবস্ত করা যায়। বিদ্যুৎ না আসা পর্যন্ত সেগুলো এনে লাভ নেই।’

এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর এক আত্মীয় অমরেশ দাস বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টিতে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে কিন্তু, দু’দিন ধরে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিদ্যুৎ নেই, এটা ভাবতেই পারছি না। বাধ্য হয়ে রোগীকে এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’ কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকে। দপ্তরের উচিত দ্রুত এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা। শুনেছি একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে তার ছিঁড়ে গিয়েছে।’

বিষয়টির পিছনে রাজনীতি দেখছেন স্থানীয় বিধায়ক বিজেপির অজয় পোদ্দার। চিকিৎসক বিধায়ক বলেন, ‘এখানে যে হেতু বিরোধী দল জিতেছে তাই মানুষকে শায়েস্তা করতে হয়তো ভেঙে পড়া গাছ সরানো হচ্ছে না।’ বরাকর বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘বুধবার বিকেলে ঝড়ের সময়ে ওখানে গাছ ভেঙে তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওখানে আলো এসে গিয়েছে।’

You might also like!