দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : মানুষের স্বভাবই এমন যে হুজুগে মেতে উঠতে দেরি হয় না! আর তাই সোমবার রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে একরকম পোস্টের ঢল। সেখানে বলা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ইউজার ফেসবুক বা মেটাকে তাঁর ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন না। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—আসলে কি মেটা এমন কিছু করে থাকে? আর এই ধরনের পোস্ট কি সত্যিই তথ্য ব্যবহারে রাশ টানতে পারে? বেশিরভাগ ব্যবহারকারী না বুঝেই কপি-পেস্ট করছেন এই বার্তা। তাহলে আসল সত্যিটা কী? চলুন, বিষয়টি খোলসা করে দেখা যাক।
মেটা তাঁদের টার্মসেই জানিয়েছে সকল ব্যবহারকারীর তথ্য তাঁদের কাছে সুরক্ষিত। অ্যাকাউন্ট তৈরির সময় যে যে শর্ত দেওয়া হয়, সেখানেই বলা থাকে কোনওভাবেই অনুমতি ছাড়া কারও কাছে ব্যবহারকারীর নাম, ইমেল বা ফোন নম্বর বিক্রি করা হবে না। ফলে সোশাল মিডিয়া যে পোস্ট ঘিরে সরগরম, তা এককথায় অযৌক্তিক। এর কোনওরকম কোনও ভিত্তি নেই।
নিশ্চয়ই ভাবছেন তাহলে কেন এই পোস্ট? জানা যাচ্ছে, এই পোস্টের শুরু কার হাতে তা অজানা। তবে এবছরই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার নিউজফিডে ঘুরেছে এই পোস্ট। বছরঘুরে আবারও ফিরে এসেছে সেই ট্রেন্ড। যা আগের মতোই ফের হারিয়ে যাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তবে কেউ যদি এই পোস্ট দেখে তথ্য সুরক্ষিত কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন, তাহলে জেনে রাখুন, সমস্যার কিছু নেই। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল ফেসবুকের বহু ইউজারের তথ্য ফাঁস হয়েছে। তা নিয়ে নাকি ক্ষমাও চেয়েছেন জুকারবার্গ।