
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতে তেষ্টা কম লাগলেও জল কম নয়, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা শীতকালে অনেকেরই তেষ্টা কম পায়। ফলে দিনের পর দিন মাত্র এক বা দু’গ্লাস জল পান করেই অনেকে দিব্যি কাটিয়ে দেন। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে কিডনি ও লিভারের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে ঘাম কম হওয়ায় শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অনেকের চোখে পড়ে না। কিন্তু তাই বলে শরীরের জলের প্রয়োজন কমে যায় না। তেষ্টা না পেলেও শরীরের কোষ, রক্তসঞ্চালন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য পর্যাপ্ত জল অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লিটার জল পান করা উচিত। শীতকালে ঠান্ডা জলে অস্বস্তি হলে হালকা গরম জল পান করাই ভালো। এতে হজমের সমস্যাও কমে এবং শরীর সহজে জল গ্রহণ করতে পারে।
শুধু জল নয়, বিকল্প ভাবেও শরীরের জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব। নারকেলের জল, তাজা ফলের রস, ঘরে তৈরি স্যুপ বা ঝোলজাতীয় খাবার শরীরে জল ও প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ জোগাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শসা, কমলালেবু, আপেল বা পেয়ারার মতো জলসমৃদ্ধ ফল খাওয়াও উপকারী।
কম জল খেলে কিডনির স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে: কিডনি আমাদের শরীরের পরিষ্কারক যন্ত্রের মতো। এই কিডনিই রক্ত পরিষ্কার করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বর্জ্র বের করে দেয়। যখন কম জল খাওয়া হয়, তখন কিডনি এই বর্জ্র পদার্থ বের করতে অক্ষম হয়ে পড়ে। এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং জ্বালাও হতে পারে।
লিভারের জন্যও বিষয়টা কঠিন: খুব কম জল পান করলে লিভারের উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে, কারণ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার জন্য জলের প্রয়োজন হয়। জলর অভাব লিভারে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে পারে, যার ফলে লিভারের উপর চাপ পড়ে। এরফলে ফ্যাটি লিভার হতে পারে।
পেটের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য: শীতকালে আমরা প্রায়ই ভাজা বা ভারী খাবার খাই। হজমের জন্য জল অপরিহার্য। কম জল খেলে তাহলে আপনার পেট সঠিকভাবে পরিষ্কার হতে পারে না। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। পেটে গ্যাস এবং ব্যথাও হতে পারে।
