
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলার রাজনৈতিক আকাশ এখন রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে অমিত শাহ অনুপ্রবেশ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মহাভারতের ‘দুর্যোধন’ ও ‘দুঃশাসন’-এর সঙ্গে তুলনা করে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,” ভোট এলেই দুর্যোধন, দুঃশাসনরা আসেন।” শুধু তাই নয়, অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ প্রশাসনিক প্রধানের। তাঁর তোপ, ”বাংলাতেই শুধু অনুপ্রবেশ হচ্ছে? কাশ্মীরে হচ্ছে না। তাহলে পহেলগাঁও হামলা কে করল? দিল্লি বিস্ফোরণ কে করল? আপনারা করলেন?” প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মমতা প্রশাসনকে বিদ্ধ করেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, সীমান্ত কাঁটাতার বসাতে জমি দিচ্ছে না রাজ্য।
আজ মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই জমি নিয়ে অমিত শাহের অভিযোগের জবাব দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”রাজ্যে এসে বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমি দেয়নি। জমি না দিলে তারকেশ্বর, বিষ্ণুপুর লাইন কে করে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে গেছে। জমি না দিলে ইসিএলের জমিগুলি কয়লা তোলার জন্য কথা থেকে আসত।” শুধু তাই নয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় জমি যে দেওয়া হয়েছে তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”বনগাঁ, পেট্রোপলে জমি কে দিয়েছে, ঘোজাডাঙ্গা, চ্যাংরাবান্ধায় জমি কে দিয়েছে? এমনকী অন্ডাল বিমানবন্দর, পানাগড়েও যে জমি দেওয়া হয়েছে তাও এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে শাহকে জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয়, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অমিত শাহের বক্তব্যের জবাব দেন প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “শুধু বাংলাতেই অনুপ্রবেশ হয়? কাশ্মীরে হয় না?” তার পরেই কাশ্মীরে ভয়াবহ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “পহেলগাঁও কি আপনারা করেছিলেন?” শুধু তাই নয়, দিল্লি বিস্ফোরণের প্রসঙ্গও টেনেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ”দিল্লিতে কতদিন আগে একটা ঘটনা ঘটে গেল, অনুপ্রবেশকারী বাংলা ছাড়া কোথাও নেই? তাহলে আপনারা করলেন?” যত দোষ বাংলার? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলে রাখা প্রয়োজন, এদিন কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক থেকে অমিত শাহ অভিযোগ করে বলেন, “বাংলার সীমান্ত দিয়ে যে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা শুধু বাংলার বিষয় নয়। দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। বাংলায় মজবুত সরকার আনলে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এহেন মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ইস্যুতে জবাব প্রশাসনিক প্রধানের।
