দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:কালীপুজোর রাতে আলোর উৎসব মানেই ছোটদের চোখে অন্য রকম উচ্ছ্বাস। হাতে ফুলঝুরি, রংমশাল বা তুবড়ি না থাকলে যেন পুজোর আনন্দই অসম্পূর্ণ। কিন্তু এই আনন্দের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে বিপদের সম্ভাবনা। বাড়ির ছাদ, আবাসনের মাঠ কিংবা রাস্তা—যেখানেই বাজি পোড়ানো হোক না কেন, শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে অবহেলা মারাত্মক হতে পারে। শব্দবাজি না হলেও সামান্য অসাবধানতায় ফুলঝুরি বা তুবড়ি থেকেও লাগতে পারে আগুন, হতে পারে গুরুতর পোড়া বা চোখে আঘাত। তাই আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকেই জানা জরুরি, দুর্ঘটনা ঘটলে কীভাবে দ্রুত সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে।কয়েকটি সাধারণ বিষয় মাথায় রাখলেই বাজি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
মাস্ক জরুরি
চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল জানাচ্ছেন, বাজির ধোঁয়া শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই শিশু যদি বাইরে যায়, তা হলে অবশ্যই মাস্ক পরাতে হবে।
পোশাক কেমন হবে
বাজি পোড়াতে যাওয়ার সময় অবশ্যই সুতির পোশাক পরতে হবে, কৃত্রিম সুতোর পোশাক নয়। ঝোলা, বেশি ঘেরওয়ালা বা কৃত্রিম সুতি অথবা সিন্থেটিক, জর্জেটের পোশাক পরে বাজি পোড়াতে গেলে ভয়ানক বিপদের সম্ভাবনা থাকে।
প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু জেনে রাখুন
যেখানে বাজি পোড়ানো হচ্ছে, সেখানে এক বালতি জল এনে রাখতে হবে। আগুনে পোড়ার একমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা ঠান্ডা জল। ফুলঝুরি বা রংমশাল থেকে আগুনের ফুলকি হাতে পায়ে লাগলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পোড়া জায়গা জলে ডুবিয়ে রাখা উচিত।
হাতের কাছে ব্যান্ডেড, গজ, তুলো, অ্যান্টিসেপটিক মলম রাখতে হবে। হাত বা পায়ের কোথাও পুড়ে গেলে ক্ষতস্থান ভাল ভাবে ধুয়ে, বাড়িতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক মলম লাগিয়ে নিতে হবে। ক্ষত যদি গভীর হয়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
খোলা ছাদে বা উঠোনে বাজি পোড়ানো উচিত, ঘরে বা ঘেরা বারান্দায় নয়। যে বাজি ফাটছে না, তা ফের জ্বালানোর চেষ্টা না করাই ভাল। পুরনো বাজি ফাটানো বিপজ্জনক। বাজি ফাটানোর আগে তা ভাল করে রোদে দিন।
মোমবাতি বা প্রদীপ থেকে আগুন ধরার ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। মাটিতে নয়, কোনও উঁচু জায়গায় প্রদীপ বা মোমবাতি রাখুন।
শিশুর যদি ত্বকে অ্যালার্জির ধাত থাকে, তা হলে বারুদের ধারেকাছে না যাওয়াই ভাল। যদি যেতেই হয় তা হলে শরীরের খোলা জায়গায় ভাল করে নারকেল তেল মাখিয়ে দিন। তা হলে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।