দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :দলীয় সাংসদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট আলোচনার মুখে পড়েছেন শ্রীরামপুরের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর উদ্দেশে সমালোচনামূলক বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি, পরে অনুতাপ প্রকাশ করে দলের প্রতি অবিচল থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন। তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁর। এবার উত্তরপাড়াজুড়ে ‘সেটিং’ অভিযোগ তুলে পোস্টার দেখা গেছে, যার উৎস হিসেবে সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে দাঁড়িয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন তিনি। সেখানে দাবি করেন, সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করাই তাঁর কর্তব্য এবং সেটাই তিনি করেছেন। কল্যাণ আরও জানান, দলের প্রতি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর আনুগত্য সম্পূর্ণ প্রশ্নহীন।
সোমবার দিল্লিতে বাবা খরক সিংহ মার্গে সাংসদদের জন্য নবনির্মিত আবাসনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল। এদিন ১৮৪ টি ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির মন্ত্রী-সাংসদ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে এদিন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অন্যান্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়ে স্মিত হেসে মোদি প্রশ্ন করেন, ‘সব কল্যাণ হ্যায়?’ তার জবাব দিয়ে কল্যাণ মোদির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। তা নিয়ে সমালোচনাও হয়।
এরপর মঙ্গলবার উত্তরপাড়া বিধানসভার কোন্নগর জুড়ে ‘সেটিং’ পোস্টার চোখে পড়ে। কীসের সেটিং, কেন সেটিং, বিজ্ঞাপন নাকি রাজনৈতিক কোনও ইঙ্গিতবাহী এসব পোস্টার, তা স্পস্ট নয়। সেটিং পোস্টারের দায় নেয়নি কেউ। তবুও সেই পোস্টার নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মোদির পাশে দাঁড়িয়ে কল্যাণের ছবি তোলাই যে এর মূল কারণ, তা বুঝতে বাকি নেই কারও। তবে এনিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার ঠিক কী কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, তা বিশদে জানিয়েছেন। বাবা খরগ সিং মার্গে সাংসদদের নতুন বাসভবনের উদ্বোধন সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকায় তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি বলে জানান শ্রীরামপুরের সাংসদ। এরপর তাঁর খোঁচা, ”আসলে আমি কোথাও কর্মসূচিতে না থাকলেই আমার বিরুদ্ধে নানা কথা বলা হয়। তাতেও অবশ্য কিছু যায় আসে না। কারণ, আমার নিজস্ব সততা, নিষ্ঠা আছে। আমি ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটে জিতেছি। দল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার আনুগত্য প্রশ্নহীন।”