গলসিতে বেআইনি বালি কারবার রুখতে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ, বাজেয়াপ্ত বহু গাড়ি ও ওয়েটব্রিজ। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানা এলাকায় দামোদর নদ থেকে বেআইনি বালি পাচার এবং অবৈধ ওয়েটব্রিজ পরিচালনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল গলসি থানার পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় একশ্রেণীর বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠছিল। তারা শুধু অবৈধভাবে বালি পাচার করছিল না, পাশাপাশি নদীর স্বাভাবিক গতিপথ এবং ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটিয়ে পরিবেশের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছিল। এই পরিস্থিতিতে গলসি থানার ওসি উত্তল সামন্তের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম বেআইনি বালি কারবারিদের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান শুরু করেছে। ওসি উত্তাল সামন্ত ২৪/০৪/২০২৫ তারিখে গলসি থানায় যোগদানের পর থেকেই বেআইনি কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের সাম্প্রতিক অভিযানে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলাগুলিতে প্রায় ৩০ এর অধীক গাড়ি এবং ১০ -১৫ টি অবৈধ ট্রাক্টর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ২০টির অতিরিক্ত বালি বোঝাই গাড়ি চিহ্নিত করে মোটর ভেহিকেলস ইন্সপেক্টরের (MVI) কাছে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, গলসি ১ ব্লকের তিনটি অবৈধ ওয়েটব্রিজের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। বেআইনিভাবে ওয়েটব্রিজ পরিচালনা এবং বালি মজুত করার অভিযোগে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (BL & LRO)-এর সাথে যৌথ অভিযান চালিয়ে ওয়েটব্রিজগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ বালি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একইসাথে, ওয়েটব্রিজ মালিকদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।তবে এখনো নির্মূল হয়নি বালি চুরি। গলসি থানার পুলিশের এই সক্রিয় পদক্ষেপের ফলে এলাকায় বেআইনি বালি কারবারিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব হবে। পুলিশ জানিয়েছে, বেআইনি বালি কারবারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কোনো রকম অবৈধ কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।