দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমান রূপচর্চার জগতে মেকআপ ব্লেন্ডার এক অপরিহার্য উপকরণ। ফাউন্ডেশন থেকে শুরু করে কনসিলার, ব্লাশ কিংবা হাইলাইটার—সবকিছু নিখুঁতভাবে স্কিনে বসাতে এই স্পঞ্জ জাতীয় যন্ত্রটির ব্যবহার আজকাল খুবই জনপ্রিয়। তবে অনেকেই জানেন না, এই ছোট্ট মেকআপ ব্লেন্ডারের বিভিন্ন দিকের রয়েছে নির্দিষ্ট কাজ। তাই ঠিকঠাক ব্যবহার না হলে, পুরো মেকআপই হয়ে উঠতে পারে অসম্পূর্ণ। মেকআপ ব্লেন্ডার সাধারণত একটি ডিম্বাকৃতি স্পঞ্জ, যার একটি পাশ গোল এবং অপর প্রান্তটি তুলনামূলকভাবে চিকন বা নুকযুক্ত। এই দুই অংশই একাধিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।জেনে নিন কৌশল।
১. ব্লেন্ডারের গোল দিকটি:
এই দিকটি মূলত মুখের বড় অংশে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ফাউন্ডেশন কিংবা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার লাগানোর সময় এই অংশ দিয়ে স্কিনে চাপ দিয়ে চাপ দিয়ে ব্লেন্ড করলে, মেকআপটি স্কিনে সুন্দরভাবে সেট হয়। গাল, কপাল, চিবুকের মতো অংশে এই দিকটি খুব কার্যকর।
২. নুকযুক্ত বা টোকানো দিক:
চোখের কোণা, নাকের পাশ বা ঠোঁটের আশপাশের মতো সূক্ষ্ম জায়গায় মেকআপ বসানোর জন্য এই দিকটি ব্যবহার করা হয়। কনসিলার লাগানোর সময় এই অংশটি দিয়ে ব্লেন্ড করলে নিখুঁত ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে ডার্ক সার্কেল কভার করার ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর।
৩. ভেজা না শুকনো?
ব্লেন্ডার ব্যবহারের আগে সামান্য জলে ভিজিয়ে, অতিরিক্ত জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এতে স্পঞ্জটি নরম হয় এবং মেকআপ আরও ভালোভাবে স্কিনে বসে। শুকনো অবস্থায় ব্যবহারে প্রোডাক্ট বেশি শোষণ করে ফেলে, ফলে মেকআপ অপচয় হয়।
৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরি:
প্রতিবার ব্যবহারের পর মেকআপ ব্লেন্ডার ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। না হলে ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এক সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা শ্যাম্পু বা ব্রাশ ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিলে তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়।
মেকআপ ব্লেন্ডার নিখুঁতভাবে ব্যবহার করলে রূপটান যেমন সাবলীল হয়, তেমনই ত্বকে প্রাকৃতিক ছোঁয়া বজায় থাকে। তাই এই ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটির সঠিক ব্যবহার জানা প্রয়োজন প্রত্যেক রূপচর্চাপ্রেমীর।