দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :অনেক পোষ্যপ্রেমী তাঁদের প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে জাপটে ধরেন বা জোরে জড়িয়ে ধরেন। বিশেষ করে বিড়াল বা কুকুরকে ভালোবেসে কোলে তুলে নেওয়া, জোরে চুমু খাওয়া কিংবা আলিঙ্গন করার ঘটনা খুবই সাধারণ। তবে সব পোষ্য কিন্তু এই ধরনের আদরে স্বস্তি বোধ করে না। আদর করতে গিয়ে যদি তাদের অস্বস্তি হয়, তাহলে সেটা তাদের শরীরীক ভাষাতেই ধরা পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণীদের ‘পার্সোনাল স্পেস’-এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। পোষ্যদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়, তারা আদর পছন্দ করছে না কি বিরক্ত বোধ করছে। নিচে কিছু লক্ষণ দেওয়া হলো, যেগুলি দেখলে বুঝবেন, আপনার পোষ্য হয়তো আপনার আদরে বিরক্ত।
১. কান পেছনে সরিয়ে নেওয়া বা চেপে ধরা:
যখন কুকুর বা বিড়াল অস্বস্তি বোধ করে, তখন তারা কান পিছনের দিকে ঠেলে দেয় বা চেপে রাখে। এটি তাদের একটি সতর্ক সংকেত।
২. লেজ নেড়ে দেওয়া নয়, গুটিয়ে ফেলা:
অনেকে ভাবেন, কুকুর লেজ নাড়ালে সেটা খুশির চিহ্ন। কিন্তু লেজ যদি শরীরের কাছে গুটিয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সে ভয় পাচ্ছে বা বিরক্ত।
৩. চোখের মুভমেন্ট ও পিলপিলানো চাহনি:
পোষ্য যদি আপনার দিকে না তাকিয়ে পাশ ফিরিয়ে ফেলে বা চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে, তবে সেটা বিরক্তির লক্ষণ হতে পারে।
৪. হাই তোলা বা জিভ চাটা:
হাই তোলা সবসময় ঘুম বা ক্লান্তির লক্ষণ নয়। এটি স্ট্রেস বা অস্বস্তির প্রকাশও হতে পারে। একইভাবে জিভ চাটাও তেমনই এক ইঙ্গিত।
৫. শরীর শক্ত করে রাখা বা পিছিয়ে যাওয়া:
যদি আপনার পোষ্য আদরের সময় শরীরটা শক্ত করে তোলে কিংবা ধীরে ধীরে পিছিয়ে আসে, তাহলে বুঝতে হবে সে এই স্পর্শে স্বস্তি পাচ্ছে না।
৬. গড়গড় শব্দ নয়, কুঁকড়ে যাওয়া বা গর্জন:
বিড়ালদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মনে হয় তারা গড়গড় শব্দ করছে। তবে যদি শরীর চেপ্টে মাটিতে শুয়ে থাকে, পিঠ বাঁকিয়ে দেয়, তাহলে সেটা বিরক্তির চিহ্ন হতে পারে। কুকুররা আবার অল্প গর্জন করে সতর্ক করে দেয়।
তা হলে কী ভাবে আদর করবেন নিজের পোষ্যকে?
অন্যান্য উপায় খুঁজে বার করে ভালবাসা প্রকাশ করতে হবে। যেমন, সারমেয়র পেটে হাত বুলিয়ে দিলে তারা খুশি হয়। তা ছাড়া পিঠ, কানের পিছন, গলার নীচে হাত দিয়ে আদর করে দিলেও তারা স্বস্তি পায়। এমনি খেলাধুলো করা, কোনও কিছু করে দিলে ডগ ট্রিট দেওয়া, মুখের কাছে মুখ নিয়ে এসে আলতো গলায় কথা বলা, এগুলিতে খুশি হয় পোষ্য।