Country

7 hours ago

Bihar On High Alert: নেপাল হয়ে বিহারে জইশ জঙ্গির অনুপ্রবেশ, গোটা রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি!

Suspected Jaish Terrorists, sketch released by Bihar Police
Suspected Jaish Terrorists, sketch released by Bihar Police

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভারতে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক! গোয়েন্দা সূত্রের খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)-এর তিন সক্রিয় সদস্য নেপাল হয়ে বিহারে প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত তথ্য হাতে এসেছে। সেই খবরের ভিত্তিতে বিহার পুলিশ গোটা  রাজ্যজুড়ে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে। জইশ জঙ্গি সংগঠনের তিন সদস্যের নাম ও পরিচয় ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা হল:

হাসনাইন আলি — পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা;

আদিল হুসেন — পাকিস্তানের উমরকোটের বাসিন্দা;

মোহাম্মদ উসমান — পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের বাসিন্দা। 

তাঁদের ছবি ও পাসপোর্ট তথ্য সমস্ত জেলার পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিন জঙ্গি আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে তৃতীয় সপ্তাহে নেপাল সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের বিহার রাজ্যে প্রবেশ করে। তাদের উদ্দেশ্য  কী, তা নিশ্চিত না হলেও একটি বড় ধরনের হামলার ছক রয়েছে বলেই অনুমান। ঘটনার পরপরই বিহার পুলিশের সদর দফতর থেকে সমস্ত জেলাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে নেপাল-সন্নিহিত সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে নজরবন্দী রয়েছে সীতামারহি,মধুবনী, পশ্চিম চম্পারণ,আরারিয়া,কিষাণগঞ্জ,সুপৌল জেলাগুলি।  এছাড়াও ভাগলপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ টহল, বসানো হয়েছে চেকপোস্ট ও নজরদারি ক্যাম্প। ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন, সিসিটিভি এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরদল। 

পুলিশ সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করেছে, যদি কোথাও সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা কার্যকলাপ চোখে পড়ে, তাহলে যেন অবিলম্বে নিকটবর্তী থানায় বা পুলিশ হেল্পলাইনে যোগাযোগ করা হয়। কোনও গুজব না ছড়াতে এবং আতঙ্ক তৈরি না করেও সচেতনতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রত্যেকটি নিরাপত্তা সংস্থা ও গোয়েন্দা বিভাগ তিন জঙ্গির সন্ধানে তৎপর। সীমান্তপথে ঢোকার তথ্য থাকলেও, তারা এখন বিহারের কোন অঞ্চলে অবস্থান করছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি রাজ্যের প্রতিটি কোণায় জোরালো নজরদারি চালাচ্ছে।

You might also like!