Sarbananda Sonowal: উত্তরপূর্বে অস্থিরতার জন্য দায়ী কংগ্রেস, অভিযোগ কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী সনোয়ালের
ডিব্রুগড় (অসম), ১৪ জুন : উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে মণিপুরে অস্থিরতার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী সর্বানন্দ সনোয়াল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ শনিবার ডিব্রুগড়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, কংগ্রেস শাসনামলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘বিশৃঙ্খল অঞ্চল’ হিসেবে বর্ণনা করা হতো। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা করে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চলে রূপান্তরিত করছে।
ডিব্রুগড়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্ৰী প্ৰশান্ত ফুকনকে পাশে বসিয়ে অতীতের কথা স্মরণ করে সর্বানন্দ বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল একসময় ‘আন্দোলন এবং অন্যান্য অপরাধের’ রৌম্যভূমি ছিল। এ থেকে উদ্ধার করে শান্তি ও উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। উগ্ৰপন্থী সংগঠনগুলির সাথে স্বাক্ষরিত বেশ কয়েকটি চুক্তির কথা তুলে ধরে সর্বানন্দ বলেন, শান্তিচুক্তির ফলে বহু চরমপন্থী অস্ত্র সংবরণ করে মূলধারায় ফিরে এসেছে। ‘এই শান্তি চুক্তিগুলি জাতীয় উন্নয়ন যাত্রার সাথে এই অঞ্চলকে একীভূত করার জন্য কেন্দ্রের দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়।’ বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, এনডিএ-র প্রচেষ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগণের মধ্যে প্রবৃদ্ধি, সংযোগ এবং আস্থা বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করেছে। গত ১১ বছরে ৭০ বারের বেশি প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এসেছেন। কেবল এসে ঘুরে যাওয়া নয়, ব্যাপক উন্নয়ন করেছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার। উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী-বন্দরের কাজ করছে বর্তমান সরকার। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী সনোয়াল বলেন, দেশের মহাকাশ গবেষণা সহ জলবায়ু পরিবৰ্তন ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা চলছে এনডিএ সরকারের নেতৃত্বে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এনডিএ সরকারের কৰ্মকাণ্ডের জন্য ভারত আজ বিশ্বের কাছে এক চর্চিত রাষ্ট্র। দেশের ২৫ কোটি দরিদ্ৰ জনতা গত ১১ বছরে এনডিএ সরকারের মাধ্যমে উন্নয়নের মুখ দেখেছেন।
তিনি বলেন, মহিলা, যুবসমাজ, কৃষক এবং দরিদ্র, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এনডিএ সরকার সর্বক্ষেত্রে কাজ করে বিশ্বের চতুৰ্থ অৰ্থনীতি দেশ হিসেবে বিশ্বে স্থান লাভ করেছে। খুব দূরে নেই, বিশ্বের তৃতীয় অৰ্থনীতির দেশ হিসেবে চিহ্নিত হবে ভারত। আরও বলেন, দেশের জলপথ, স্থলপথ, বায়ু পথ, রেল পথ প্রভৃতি বিবিধ ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটাতে দেশের প্রতিটি কোণায় এনডিএ সরকার কাজ করছে। সনোয়াল বলেন, উত্তর-পূৰ্বঞ্চলের প্ৰতিটি রাজ্যের সর্বত্র প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী গত ১১ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন। দেশের মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী নজিরবিহীন কাজ করছেন। গত ১১ বছরে যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে স্বনিৰ্ভর করে তুলেছে এই এনডিএ সরকার। এছাড়া দেশের কৃষকদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি তাঁদের উৎপাদিত সামগ্ৰী ন্যায্যমূল্য নিৰ্ধারণ করে কৃষকদের এগিয়ে নিচ্ছে বর্তমান এনডিএ সরকার। গত ১১ বছরে প্ৰধানমন্ত্ৰী আবাস যোজনার বলে মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তিনি বলেন, এনডিএ সরকার ইতিমধ্যে ১৪ কোটি পরিবারকে পাকা শৌচালয় প্ৰদান করে দুখি মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কংগ্রেসের আমলে সৃষ্ট সন্ত্ৰাসবাদকে নিৰ্মূল করে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে এনডিএ সরকার। উত্তরপূর্বে কংগ্ৰেস সরকারের কল্পনাতীত বিদ্যুৎচালিত রেল পরিষেবা প্ৰবৰ্তন করেছে নরেন্দ্ৰ মোদী নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তিনি বলেন, কংগ্ৰেস সরকারের স্বজনপোষণ, পরিবার-কেন্দ্রিক রাজনীতির প্রথা ভঙ্গ করে এনডিএ সরকার কেবল জনসাধারণের উন্নয়নে কাজ করছে। ভারতীয় জনতা পাৰ্টির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের ইতিহাস পালটে দিয়েছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী। অলিম্পিক, আসিয়ান চেম্পিয়নশিপে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পদক লাভ করতে সক্ষম হচ্ছেন এই এনডিএ সরকারের আমলে। সর্বানন্দ বলেন, আগামী দিনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারতকে দাঁড় করাতে দুরন্ত গতিতে অগ্ৰসর হচ্ছে এনডিএ সরকার।
You might also like!
