Breaking News
 
Mamata Banerjee: তৃণমূল টিমকে আটকানোর পরেই মমতার কড়া হুঁশিয়ারি: ‘আমি নিজে যাব, কত দম আছে দেখব!’ Mamata Banerjee:ছটপুজোর প্রসঙ্গ টেনে মমতার আক্রমণ: 'বিহারের জন্য ছাড়, আর উত্তরবঙ্গের ভাড়া ১৮ হাজার! এটা কি বৈষম্য নয়?' Tripura:‘গান্ধীবাদ’ ছেড়ে এবার ‘সুভাষ’ হওয়ার ডাক! ত্রিপুরায় ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে সরব তৃণমূল TMC: আটক তৃণমূল প্রতিনিধি দল, পুলিশি বাধার মুখে ত্রিপুরা বিমানবন্দর কাঁপল 'সন্ত্রাস' বিরোধী স্লোগানে! Mamata Banerjee : হামলার পর রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা, মমতার হুঁশিয়ারি— ‘শান্ত থাকুন, উসকানিতে পা দেবেন না’ CM Mamata Banerjee:দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ— ‘জীবন আগে, দ্রুত নিরাপদ স্থানে যান’

 

West Bengal

1 year ago

Shovan Roy: সবুজায়নই তাঁর মূল লক্ষ্য! শোভন রায়ের সুবুজ প্রেমের নজির জানলে অবাক হবেন আপনিও

Shovan Roy (File Picture)
Shovan Roy (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পেশা বিদ্যুৎ দপ্তরের ঠিকাকর্মী। নেশা সবুজায়ন। মন্তেশ্বরের শুশুনিয়ার বাঁয়ুই গ্রামের বছর ৪০-এর শোভন রায়ের গাছ প্রেমে সবুজে ভরে উঠছে গ্রাম। তার একপ্রান্তে গড়ে উঠছে খণ্ড বন। সবুজায়নে শোভনের উদ্যোগে সামিল হয়েছেন গ্রামের কয়েকজন। কেউ আর্থিক সাহায্য দিয়ে কেউ শ্রমের মাধ্যমে শোভনের সঙ্গী হচ্ছেন। গাছের পরিচর্যাতেও শোভন পাশে পাচ্ছেন অনেককে।

ছোট থেকে গাছের নেশা শোভনের। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি গ্রুপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার সবুজায়নে উদ্যোগ নেন তিনি। বর্ধমানের ডিভিসি মোড় কানাইনাটশালে অফিস শোভনের। অফিসে যাওয়ার আগে রোজ সকালে ঘণ্টা দুয়েক নিয়ম করে চলে এলাকার গাছের পরিচর্যা। বলেন, 'বিদ্যুৎ দপ্তরের যে বিভাগে কাজ করি তার সুবাদে প্রকৃতির ক্ষতিটাও প্রত্যক্ষ করতে পারি। ঝড়ে বা দুর্যোগে গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তারের ক্ষতি হলে আমাকে যেতে হয়।' তাঁর মতে, পাল্লা দিয়ে যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে মুক্তির একমাত্র পথ হলো সবুজায়ন। সেই কারণে সময় নষ্ট করতে চান না তিনি। বলেন, 'শুধু গাছ বসালেই তো হলো না, গ্রামে গোরু, ছাগলের উপদ্রব রয়েছে। তাই গাছরক্ষা করতে বেড়ার প্রয়োজন। কেউ বাঁশের বেড়া তৈরি করতে সাহায্য করেছেন, কেউ আর্থিক ভাবেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।' গ্রামে খেলার মাঠের পাশে খণ্ড বন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন জানিয়ে শোভন বলেন, 'সেখানে পলাশ, বকুল, মেহগনি, কদম, সোনাঝুরির মতো গাছ বসিয়েছি।'

সবুজায়ন প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য করেন শোভনের বন্ধু গ্রামের বাসিন্দা সেচ দপ্তরের আধিকারিক মানব খাঁ, জেলা পরিষদের কর্মী অমিত রায়ের মতো লোকজন। গাছের পরিচর্যায় রোজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় শোভনের সঙ্গী হন তাঁর বন্ধু বিদ্যুৎ নন্দী। তিনি বলেন, 'শোভনের সবুজায়নের নেশা চেপে বসেছে আমাদের উপরেও। ওকে যতটা পারি সাহায্য করি। একমাত্র সবুজায়নই যে আমাদের বাঁচার পথ সেটা সবাইকে বোঝাতে পেরেছে শোভন। সামান্য যা বেতন পায় তার অনেকটাই খরচ হয়ে যায় গাছ-গাছালির রক্ষণাবেক্ষণে।

স্বামীর এই উদ্যোগে খুশি স্ত্রী মুক্তা কর্মকার রায় বলেন, 'তাপপ্রবাহের সময়ে গাছেদের জন্য ভ্যানে করে জার ভর্তি জল নিয়ে গিয়েছে। ওই গরমেও জল দেওয়া বন্ধ করেনি।' গাছ মাস্টার বলে পরিচিত শিক্ষক অরূপ চৌধুরি বলেন, 'শোভন যেভাবে এলাকায় সবুজায়নে উদ্যোগী হয়েছে তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ঠ নয়। আমরা গাছ গ্রুপ থেকে যতটা পারি ওকে চারা দিয়ে সাহায্য করি। বাকিটা ও নিজেই করে নেয়।' তিনি ওকে রুদ্র পলাশের বীজ এনে দিতে বলেছিলেন জানিয়ে অরূপ বলেন, 'কাজের সূত্রে শোভন বর্ধমানের বেচারহাটে একটি হাউজি়ং কমপ্লেক্সে গিয়ে সেই বীজ কুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। শুধু নিজের এলাকায় নয়, শোভনের উদ্যোগে সবুজে ভরে উঠেছে ভিন এলাকাও।'

You might also like!