দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক :মরসুম বদলতেই অনেকের পায়ে ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। শীতে তো বটেই, গরমেও এই সমস্যা বহু মানুষের কাছে পরিচিত। পায়ের যথাযথ যত্নের অভাব এবং পুষ্টির ঘাটতির কারণে এটি ঘটে। যতই সুন্দরভাবে সাজগোজ করুন না কেন, ফাটা গোড়ালি বা পায়ের কালচে দাগ পুরো লুকটা নষ্ট করতে পারে। খালি পায়ে হাঁটার সময় বা জুতো খুলে বসার সময় লজ্জা অনুভব করতে হয়। কিন্তু সমস্যাটি শুধু মরসুমের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়—অনেকের ক্ষেত্রে সারা বছরই পা ফাটে। এবং কখনও কখনও এই ফাটার নেপথ্যে থাকতে পারে কিছু শারীরিক সমস্যা।
১) পা ফাটার একাধিক কারণের মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিনের অভাব। বিশেষত ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই ভিটামিনগুলির অভাবে ত্বকে নানা প্রকার সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া।
২) পা ফাটার আরও একটি কারণ হল শরীরে জলের ঘাটতি। পরিবেশের আর্দ্রতা কম থাকা, কম জল পান করা কিংবা দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার ফলে পায়ের ত্বকের আর্দ্র ভাব কমে যেতে পারে। ফলে চামড়া শুকিয়ে ও ফেটে যেতে পারে।
৩) এগজিমা এমন এক ধরনের ত্বকের রোগ, যার প্রভাবেও পায়ের ত্বক ফাটতে পারে। এই রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গটি দেখা যায়, তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে 'অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস'। সারা দেহের যে কোনও স্থানেই এই রোগ হতে পারে।
৪) সোরিয়াসিস রোগের ক্ষেত্রেও পা ফাটা দেখা যেতে পারে। পায়ের তালুতে খোসার মতো চামড়া উঠতে থাকে এই রোগে। ক্ষেত্রবিশেষে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে পায়ের গোড়ালিতেও। এই রোগটি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়।
৫) ওজন বেশি হলেও অনেকের পা ফাটার সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে গোড়ালির উপর ভর দিয়ে দাঁড়ালে দেহের পুরো ওজনটাই তার উপর এসে পড়ে, তাই ওবেসিটি থাকলেও পা ফাটতে পারে।