দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ভাষা সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে সেনার বাধা। হঠাৎ মঞ্চ ভেঙে নেওয়ার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছে যান স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই মঞ্চ খোলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি কর্মসূচির ডাক দেন। আগামীকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার, রাজ্যের প্রতিটি জেলা, ওয়ার্ড ও ব্লকে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেবেন।
ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচারের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কলকাতা, বোলপুর, ঝাড়গ্রামসহ একাধিক জেলায় তিনি মিছিলে অংশ নেন। ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প। ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের জন্য এক বছরের জন্য মাসে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তাও ঘোষণা করা হয়েছে। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও রবিবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানেই তৈরি হয়েছিল ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ।
সোমবার আচমকা সেনাবাহিনীর জওয়ানরা মেয়ো রোডে পৌঁছয়। সভামঞ্চে খুলে ফেলে সেনা। ছুড়ে ফেলা হয় ত্রিপল। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “সেনাবাহিনীর দোষ নেই। তারা আমাদের বন্ধু। বিজেপির কথায় তাঁরা এই কাজ করেছে। বিজেপি সেনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে।” কেন তৃণমূলকে না জানিয়ে সেনার এই কাজ? সেই প্রশ্ন তুলে মমতার বক্তব্য, “আপত্তিজনক কিছু থাকলে আমরা নিজেরাই মঞ্চ খুলে দিতাম।” গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ঘটনাস্থল থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা। জানান, আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত স্তরে তৃণমূলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন। এর পাশাপাশি ‘ভাষা আন্দোলনে’র মঞ্চ সরিয়ে রানি রাসমণি রোডে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানালেন। মঙ্গলবার থেকে সেখানেই চলবে ধরনা।