মুম্বই, ১৫ জুন : পড়াশোনা দেহরাদুনে। মুম্বইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। কর্মক্ষেত্র ও নিবাস মূলত লন্ডনে। মৃত্যুও ওই শহরে। কিন্তু নাগরিকত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যু-পরবর্তী জটিলতা অনেকের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। সূত্রের খবর, রবিবারও এই জট কাটানো মুশকিল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আচমকাই মৃত্যু হয় অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী, উদ্যোগপতি সঞ্জয়ের। জানা গিয়েছে, লন্ডনে ময়নাতদন্তের পর দিল্লিতে আনা হবে শিল্পপতির মরদেহ। দিল্লিতেই হবে শেষকৃত্য। কিন্তু সেখানেই হয়েছে আর এক সমস্যা। আমেরিকার নাগরিকত্ব থাকায় বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। আমেরিকার আইন অনুযায়ী, সে দেশের কোনও নাগরিকের বিদেশে মৃত্যু হলে তারা তদন্ত করে। সেই রিপোর্ট আসার পরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে লন্ডনে। তাই তৈরি হয়েছে এই জটিলতা। তাই সময়ে শেষকৃত্য হতে খানিকটা দেরি হবে বলে জানা গিয়েছে। আমেরিকার নাগরিক হলেও দিল্লিতে বড় হয়েছেন তিনি। তাই নিজের দেশেই হবে সঞ্জয়ের শেষকৃত্য। প্রয়াত শিল্পপতির মরদেহ ভারতে আনা প্রসঙ্গে তাঁর বর্তমান শ্বশুরমশাই অশোক সচদেব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া এবং বৈধ কাগজপত্র হাতে পেলেই সঞ্জয়ের দেহ দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত, করিশ্মার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর সঞ্জয় মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়া সচদেবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর দিল্লির বাসভবনে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার হাত এক হয়। সঞ্জয়-প্রিয়ার এক পুত্রসন্তান, নাম আজারিয়াস কাপুর।