Breaking News
 
Mamata Banerjee: তৃণমূল টিমকে আটকানোর পরেই মমতার কড়া হুঁশিয়ারি: ‘আমি নিজে যাব, কত দম আছে দেখব!’ Mamata Banerjee:ছটপুজোর প্রসঙ্গ টেনে মমতার আক্রমণ: 'বিহারের জন্য ছাড়, আর উত্তরবঙ্গের ভাড়া ১৮ হাজার! এটা কি বৈষম্য নয়?' Tripura:‘গান্ধীবাদ’ ছেড়ে এবার ‘সুভাষ’ হওয়ার ডাক! ত্রিপুরায় ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে সরব তৃণমূল TMC: আটক তৃণমূল প্রতিনিধি দল, পুলিশি বাধার মুখে ত্রিপুরা বিমানবন্দর কাঁপল 'সন্ত্রাস' বিরোধী স্লোগানে! Mamata Banerjee : হামলার পর রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা, মমতার হুঁশিয়ারি— ‘শান্ত থাকুন, উসকানিতে পা দেবেন না’ CM Mamata Banerjee:দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ— ‘জীবন আগে, দ্রুত নিরাপদ স্থানে যান’

 

West Bengal

1 year ago

Jhargram: জেলার শিক্ষাকর্তারাও প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢোকাতে অপারগ

Teacher in a School (Symbolic Picture)
Teacher in a School (Symbolic Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ধর্নায় বসা নতুন প্রধান শিক্ষিকাকে বুধবার স্কুলে ঢোকাতে পারলেন না ডিপিএসসির চেয়ারম্যান! ঝাড়গ্রামের শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ জেবি প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠকের পরেও কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হলো শিক্ষা দপ্তরের জেলাকর্তাদের। বিষয়টি স্কুল শিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে এখন ‘গাইডেন্সে’র জন্য অপেক্ষা করছেন ঝাড়গ্রাম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি জয়দীপ হোতা। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে উল্টে জানতে চাওয়া হয়েছে, স্কুলে কেন নতুন প্রধান শিক্ষিকা অ্যাপয়েন্ট করা হয়েছে?

স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় স্কুলের মেন গেটের বাইরে গত ১০ জুন থেকে চেয়ার-টেবিল নিয়ে স্কুল আওয়ারে ধর্নায় বসেছেন শিক্ষিকা কমলা বেরা। ‘এই সময়’ সংবাদপত্রে সে খবর প্রকাশিত হয়েছিল গত ১৯ জুন। এর পরেই টনক নড়ে জেলার শিক্ষাকর্তাদের। বুধবার সকালে স্কুলে যান জয়দীপ হোতা, ঝাড়গ্রাম জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(প্রাথমিক) সোমেনচন্দ্র লাহা এবং ঝাড়গ্রাম পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌমিত্র নন্দী।

সূত্রের খবর, ‘অনৈতিক’ ভাবে দায়িত্বে থাকা টিচার-ইন-চার্জ চম্পা দোলইকে কড়া ভাষায় ভৎর্সনা করেন জেলার শিক্ষাকর্তারা। বারবার ডাকা সত্ত্বেও কেন তিনি ডিপিএসসি অফিসে যাননি তাও জানতে চান তাঁরা। সরকারি নির্দেশিকাকে অগ্রাহ্য করে দায়িত্ব কেন হস্তান্তর করা হয়নি, সে বিষয়ে তাঁর কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়। এর পরেই টিচার-ইন-চার্জ ওই প্রাইমারি স্কুলের ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং আরেক সন্ন্যাসিনীকে ডেকে নিয়ে আসেন। তাঁরা এসে শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদিকা পরিব্রাজিকা আত্মহৃদয়ার সঙ্গে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যান।

শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা সরকারি নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করার কারণ জানতে চাইলে তাঁদের উল্টে প্রশ্ন করা হয়, কেন প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার পদ ফাঁকা রয়েছে তাই নিয়ম অনুসারে দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু সন্ন্যাসিনীদের তরফে জানানো হয়, উপরমহলে কথা বলার পরে তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

স্কুল থেকে বেরিয়ে জয়দীপ হোতা বলেন, ‘এই পরিস্থিতির কথা রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এখন শিক্ষা দপ্তরের ‘গাইডেন্সে’র অপেক্ষায় আমরা রয়েছি। ওঁরা যা বলবেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু শিক্ষিকা রাস্তার পাশে বসে রয়েছেন, তাই আমরা অস্থায়ী ভাবে ওঁকে অন্য স্কুলে পাঠানোর কথা ভেবেছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কমলা বেরা শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ জে বি প্রাইমারি স্কুলেই থাকবেন এবং তাঁর বেতনও ওই স্কুল থেকেই হবে।’

এ দিন বিকেলে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গে দেখা করেন প্রধান শিক্ষিকা কমলা বেরা। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলটি সরকারি। ডিপিএসসির অধীনেশিক্ষক নিয়োগ থেকে বেতন— সবই হয়। স্কুলের সঙ্গে ট্রাস্টি বডির কোনও সম্পর্ক নেই। ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আমাকে নিয়োগ করেছেন খোদ ডিপিএসসি চেয়ারম্যান স্যার। প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আমার স্কুলে ঢোকার অধিকার রয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার আমি স্কুলের ভিতরে আমার চেয়ারে গিয়ে বসব। তারপরেও যদি ট্রাস্টি বডির নাম করে ওঁরা গায়ের জোর দেখান, তবে আমি আইনের পথে যাব।’

You might also like!