দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ নাসার আকাশ গবেষণা এবার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সূর্যের দিকে তাদের একটি যান ছুঁড়ে দিয়েছিল নাসা। পার্কার সোলার প্রোব নামে সেই যান সব বাধা কাটিয়ে সূর্যের দিকে ছুটেও চলেছে। পথে এমন অনেক বাধা এসেছে যার জন্য প্রস্তুত ছিলেননা বিজ্ঞানীরাও। তাঁরাও কিছুটা ধাক্কা খেয়েছেন পার্কারের যাত্রাপথের বাধা নিয়ে। তবে সব বাধা কাটিয়ে এখন পার্কার সূর্যের অনেক কাছে পৌঁছে গেছে। এই লড়াই যেন বিশাল প্রকৃতি জগতের সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের লড়াই।
এই মুহূর্তে পার্কার সূর্যের হাওয়াকে স্পর্শ করেছে। সূর্যের হাওয়া বলতে যতটা সহজ তার উত্তাপ ততটাই ভয়ংকর। তবে পার্কারকে সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে যাতে সূর্যের ওই উত্তাপও তার কোনও ক্ষতি না করতে পারে। সে তার কাজ দক্ষতার সঙ্গে করতে পারে। এখন যখন সূর্যের কাছে পৌঁছে তার উত্তপ্ত হাওয়ার স্পর্শ পাচ্ছে পার্কার, তখন তার কাজ সে শুরু করে দিয়েছে। তার কাজের মধ্যে রয়েছে ঠিক কোথা থেকে সূর্যের হাওয়া তৈরি হচ্ছে তা খুঁজে বার করা। যা বার হলেই পরিস্কার হয়ে যাবে সৌর ঝড়ের উৎস।
তাছাড়া যখন সৌর ঝড় ওঠে তখন তার চেহারা কেমন হয় তাও খতিয়ে দেখবে পার্কার। সেই সূর্যের হাওয়ায় যে অতিরিক্ত চার্জড প্রোটন, ইলেকট্রন এবং ভারী আয়ন সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ ছাড়িয়ে বেরিয়ে যায় তার চরিত্রও খতিয়ে দেখবে পার্কার। এখন বলতেই হয়,বিজ্ঞানের অসাধ্য কিছু নেই। আমাদের গর্বের বিষয় হলো নাসার বিজ্ঞানীর দলে এখন বাঙালির সংখ্যা প্রচুর।