দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক যেন চিরন্তন। অষ্টমীর অঞ্জলিতে সঙ্গীর পাশে দাঁড়ানো, ভোগের লাইনে অপেক্ষা করতে করতে চুপি চুপি দুষ্টু-মিষ্টি হাসি, কিংবা দশমীর সিঁদুরখেলায় হালকা রঙের ছোঁয়ায় প্রকাশ পাওয়া লুকোনো আবেগ—সব মিলিয়ে এই কয়েকটা দিনই অনেক সময় প্রেমের শুরু হওয়ার সঠিক মুহূর্ত হয়ে ওঠে। কারও সঙ্গে প্রথম দেখা, কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের বাঁক নেওয়া কিংবা মনের মানুষকে খুঁজে পাওয়া—সবটাই যেন ঘটতে থাকে দুর্গোৎসবকে ঘিরে।
তবে যাঁরা সদ্য প্রেমে পড়েছেন, বা যাঁরা বহুদিন ধরে মনের কথা বলতে চাইছেন, তাঁদের জন্য পুজো এক মোক্ষম সময়। কারণ এই সময়টা অন্য সব দিনের মতো সাধারণ থাকে না। উৎসবের আবহাওয়া, সাজ-পোশাক, আলোর ঝলকানি আর চারদিকের আনন্দ—সবকিছুই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। সঙ্গীর মন জিতবেন কীভাবে? রইল টিপস।
১) এখন থেকে বসেই প্ল্যান করে নিন সপ্তমী থেকে দশমীর। আর এ ব্যাপারে অবশ্যই সঙ্গীর সঙ্গে পরামর্শ করুন। একা একা একেবারেই প্ল্যান করবেন না। এতে কিন্তু পরে সমস্যা হতে পারে।
২) যেদিন বেরবেন সঙ্গীর সঙ্গে মিলিয়ে পোশাকের রং বেছে নিন। দেখবেন প্রেম জমে ক্ষীর হবে এক ছবিতেই। আর সব কোলাহল সরিয়ে শহর জুড়ে যেন নিঃশব্দভাবে উড়ে বেড়াবে একটাই বার্তা, আমি তোমাকে ভালোবাসি।
৩) পুজোর দিনগুলো কেমনভাবে কাটাবেন, তা প্ল্যান করার সময় অবশ্যই সঙ্গীর পছন্দ ও অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে একটু না হয় সমঝোতা করুন। কারণ, ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট মানে হেরে যাওয়া নয়’, সেই ‘প্রাক্তন’ ছবিতেই বলে দিয়েছিলেন অপরাজিতা আঢ্য।
৪) সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করুন উপহার নিয়ে। সব সময় যে বড় উপহার দিতে হবে, তার কোনও মানেই নেই। প্রয়োজনে একটা গোলাপ ফুলও ম্য়াজিক দেখাতে পারে।
৫) যদি গাড়ি থাকে, তাহলে অবশ্যই সঙ্গীকে বাড়ি পর্যন্ত ড্রপ করে দিন। অন্তত, প্রেমিকার পাড়া পর্যন্ত। আর যাদের গাড়ি নেই। তাঁরা বরং অ্যাপ ক্যাবের সাহায্য নিন। শুধু তাই নয়, সঙ্গীকে আগলে রাখুন ভিড় প্যান্ডেলেও। এই ছোট্ট বিষয়গুলিই বলে দেবে আপনার মনের কথা।
৬) আর শেষপাতে উল্লেখ্য, খরচ কিন্তু প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়ই করুন। এতে সম্মান আর ভালোবাসা দুটোই বজায় থাকে। অন্তত এযুগে! দেখবেন পুজোয় প্রেম জমে ক্ষীর।