
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজোর আনন্দ এবার সারাবছর বজায় থাকবে। পূর্ব ঘোষণামতো, সোমবার বিকেলে নিউটাউনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থেকে দুর্গা অঙ্গনের শিলান্যাস করেন। এদিন তিনি অঙ্গনের বিশেষত্ব এবং তা থেকে আসা সুবিধা সবিস্তারে জানান বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। সব ধর্মের সব অনুষ্ঠানে থাকি। কারণ, আমি মনে করি ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। জানেন এই দুর্গা অঙ্গন কেন তৈরি হচ্ছে? যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের বলি। ইউনেস্কো আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোকে কালচারাল হেরিটেজের তকমা দিয়েছে। তাদের স্বীকৃতিকে সম্মান জানাতে এই দুর্গা অঙ্গন তৈরি করা হল। সেই সঙ্গে সারাবছর এখানে মা দুর্গার দর্শন ও নিত্যপুজো হবে।” মমতা জানান, আগামী ২ বছর অর্থাৎ ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই অঙ্গন তৈরির কাজ শেষ হবে।
দুর্গা অঙ্গনের জন্য ইকো পার্ক সংলগ্ন ১৭.২৮ একর জমি বাছাই করা হয়েছে। চারপাশে থাকবে ২০ ফুট চওড়া রাস্তা। প্রতিদিন এক লাখ ভক্ত দর্শনে আসতে পারবে, উঠোনে একসঙ্গে হাজার ভক্ত বসার ব্যবস্থা থাকবে। ১০৮ দেবদেবী ও ৬৪ সিংহ মূর্তি থাকবে। আলাদা মণ্ডপে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পুজো, আলাদা প্রসাদ ঘর এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য স্থান থাকবে। মন্দির চত্বরে দোকান এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা, যার মধ্যে রাজ্য দিচ্ছে ১৭০ কোটি টাকা। কাজ হিডকোর তত্ত্বাবধানে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”প্রথমে যখন জায়গাটা দেখেছিলাম তখন ছিল ১২.৬ একর জমি। কিন্তু আমি ভাবলাম, দুর্গা অঙ্গন হচ্ছে যখন, বড় করে, ভালো করেই হোক। এখন মোট প্রায় ১৮ একর জমিতে গড়ে উঠছে। এই জায়গা বেছে নিলাম কেন? এর সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিমানবন্দর থেকে এখানে লোকজন আসতে পারবে সহজে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, দুর্গা অঙ্গন সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার এক চমৎকার মেলবন্ধন হিসেবে গড়ে উঠবে।
