দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কসবার আইন কলেজের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ও তার তিন সঙ্গীকে ফের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আলিপুর আদালত অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, আইনের দুই ছাত্র জায়েব আহমেদ ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৮ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার রাতে চার অভিযুক্তকে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে জেরা শুরু করে গোয়েন্দারা। তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্তদের প্রাথমিক বয়ান এবং ফরেনসিক রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ সহ ডিজিটাল নথির মধ্যে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, এসব তথ্য যাচাই এবং তথ্যের মিল খুঁজতেই ফের হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এদিন মনোজিৎ মিশ্র ও পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা। জায়েব ও প্রমিতের আইনজীবীরা জামিন চাননি। এই প্রথমবারের মতো মনোজিতের জামিনের আবেদন করা হয়। তবে পুলিশ আদালতে জানায়, মনোজিৎ ও তার সঙ্গীরা সমাজে প্রভাবশালী। জামিনে মুক্তি পেলে তারা তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারেন এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এছাড়াও ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত অভিযোগকারিণী কাদের ফোন বা হোয়াটস অ্যাপ করেছিলেন, তা জানতে ওই ছাত্রীর মোবাইল পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়।
মনোজিতের আইনজীবীর দাবি, এনআরএস হাসপাতালের সামনে মনোজিতকে পুলিশের গাড়িতে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে তার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। কিন্তু তার কোনও ডিএনএ পরীক্ষা হয়নি। পরনের কাপড়ের তল্লাশির আগে তাকে পুলিশ ইঞ্জেকশন দেয়। এই ব্যাপারে আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারের পর ভোরে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়, যেখানে সে সুস্থ বলেই চিকিৎসকরা জানান। মনোজিতকে এনআরএসে নিয়েই যাওয়া হয়নি। ফলে তার আইনজীবীদের দাবির কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।