দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শেয়ালের ডাকের পরই কুলিক নদীর জল এনে শুরু হয় রায়গঞ্জ বন্দর আদি করুণাময়ী কালীবাড়ির পুজো, যা আজও বামাখ্যাপার বংশধরেরা নিষ্ঠার সঙ্গে করে আসছেন। দীপাবলির সময় এখানে ভক্তদের ঢল নামে— শুধুমাত্র দেশ থেকেই নয়, বিদেশ থেকেও আসেন অগণিত পুণ্যার্থী।
জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে পাঞ্জাব থেকে এক সাধু পায়ে হেঁটে রায়গঞ্জের কুলিক নদীর বন্দর ঘাটে এসে পৌঁছন। ঘাটের খুব কাছে একটি বটগাছের তলায় সাধনা করতে বসে তিনি সিদ্ধিলাভ করেন। তার পরে পঞ্চমুন্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করে সেখানে কালী সাধনা শুরু করেন ওই সাধক।
কালী আরাধনার প্রচলনের পর দিনাজপুরের রাজার স্বপ্নাদেশে সাধকের পঞ্চমুণ্ডি আসনে তৈরি হয় মন্দির। এরপর ১২১৬ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ শুক্লা দশমীতে তারাপীঠের মহাসাধক বামাখ্যাপার বংশধর জানকিনাথ চট্টোপাধ্যায় বারাণসী থেকে কষ্টিপাথরের কালী মূর্তি এনে প্রতিষ্ঠা করেন। ২১৬ বছর ধরে তন্ত্র সাধনার পীঠস্থান এই কালীবাড়িতে স্থানীয়দের দাবি, রাতে নাকি আজও দেবীর নূপুরের শব্দ শোনা যায়!
মন্দিরের সেবাইত পরিবারের সদস্য এক সাক্ষাৎকার রিয়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'স্বামীরা বামাক্ষ্যাপার বংশধর। রাতে শেয়ালের ডাক শুনে পাশের কুলিক নদীর ঘাট থেকে জল ভরে নিয়ে আসার পরে পুজো শুরু হয়।' পুজো কমিটির সদস্য রূপেশ সাহা বলেন, 'বামাক্ষ্যাপার বংশধর মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে তাঁর আত্মীয় রাজকুমার চট্টোপাধ্যায় বীরভূম থেকে এসে পুজো করে যান। বছরের চারটি বড় তিথিতে তিনি এখানে পুজো করেন। এ জন্য আলাদা করে চাঁদা তোলা হয় না। ভক্তরা যা দান করেন তা দিয়ে পুজো হয়।'