Breaking News
 
Tajikistan: তাজিকিস্তানে ভূমিকম্প, ইরানেও অনুভূত কম্পন Odisha shocker: ওড়িশায় ফের নৃশংসতা, ১৫ বছরের কিশোরীর গায়ে আগুন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি,উত্তাল রাজ্য রাজনীতি! Matua Youths Arrested: ফের ভিন রাজ্যে হেনস্তা! বাংলাদেশি সন্দেহে মহারাষ্ট্রে আটক রানাঘাটের দুই মতুয়া যুবক, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল পরিবার School jobs case: এসএসসি নিয়োগ বিধি নিয়ে হাই কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, শনিবার শুনানির সম্ভাবনা! PM Modi in Durgapur: নরেন্দ্র মোদির সভার আগে নাটকীয় মুহূর্ত দুর্গাপুরে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন এক তরুণী! Dilip Ghosh: দুর্গাপুরে মোদি, দিল্লিমুখী দিলীপ, বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে!

 

Country

1 week ago

Shashi Tharoor: ‘গণতন্ত্রের অন্ধকার অধ্যায়’ – ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনায় শশী থারুর!

Congress MP Shashi Tharoor
Congress MP Shashi Tharoor

 

 দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:  কংগ্রেসের ভেতরে অবস্থান অনেকটাই কোণঠাসা। কিন্তু মুখে তা কখনওই স্বীকার করেননি শশী থারুর। বরং নিজেকে কখনও ‘স্বতন্ত্র কণ্ঠ’ আবার কখনও ‘নৈতিক সমালোচক’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তবে এবার আর মোড় ঘোরাতে পারছেন না। কারণ, ইন্দিরা গান্ধীর ঘোষিত জরুরি অবস্থাকে নিশানা করে তিনি যেভাবে কলম ধরেছেন, তাতে কংগ্রেস-ঘনিষ্ঠ মহলের ধারণা—শশী থারুর বিজেপির সুরেই কথা বলছেন, তাও প্রকাশ্যে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম Project Syndicate-এ প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় প্রবন্ধে, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর সরাসরি ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী মানসিকতা আমজনতার জীবন অতিষ্ঠ করে দিয়েছিল। আজকের ভারত অন্তত ১৯৭৫-এর ভারতের মতো নয়।” কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, “ইন্দিরার সময় গণতন্ত্রের সব স্তম্ভকে মৌন করে রাখা হয়েছিল। বিচার বহির্ভূত হত্যা আকছার ঘটত।”

এখানেই প্রশ্ন উঠছে—এই শব্দচয়ন কি শুধুই ঐতিহাসিক পর্যালোচনা, না কি রাজনৈতিক বার্তা? কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে সম্প্রতি ‘জরুরি অবস্থাকে’ ভারতের গণতন্ত্রের কালো অধ্যায় বলে কটাক্ষ করেছেন, বিজেপি পালন করছে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’। সেই আবহেই শশীর এই সম্পাদকীয় প্রকাশ এবং তার শব্দভান্ডার—দুটি বিষয়ই অনেকটাই মোদি-বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে ফেলা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এর আগেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মোদি সরকারের প্রশংসা করেছিলেন শশী থারুর। তখনও তাঁর বিরুদ্ধে দলের অন্দরেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নেতারা—পবন খেরা, উদিত রাজ, জয়রাম রমেশের মতো নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন। শশী সাফাই দিয়েছিলেন—‘‘আমি এই বিষয়ে বলেছি একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে, দলের অবস্থানের সঙ্গে মেলে না সেটা ঠিক, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমি দলবিরোধী।’’

শশী থারুরের মতো প্রভাবশালী ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত মুখ যখন দলের বিপরীতে সুর তোলেন, তখন তা নিছক ব্যক্তিগত মত নয়—তা হয়ে ওঠে রাজনৈতিক বার্তা। এবার সেই বার্তা কোন দিকে মোড় নেয়, তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

You might also like!