দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরের জন্য রওনা হওয়ার ঠিক আগেই রাজ্যের আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদ ‘হিডকো’-র নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিযুক্ত করেছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক রদবদলের সিদ্ধান্তটি মঙ্গলবার সকালে নেওয়া হয়েছে।
অর্থদপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পরিবেশ, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দপ্তরেরও মন্ত্রী চন্দ্রিমা। দলীয় সংগঠনে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রীর সঙ্গে তৃণমূল লিগ্যাল সেল, অঙ্গনওয়ারি-সহায়িকা এবং আশা কর্মীদের সংগঠনেরও রাজ্য সভাপতি হিসাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। এবার সেই চন্দ্রিমার হাতেই ‘হিডকো’র মতো পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া ‘আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ’ সরকারি সংস্থারও প্রধানের দায়িত্বও তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই দল ও প্রশাসন, উভয়ক্ষেত্রেই আরও গুরুত্ব বাড়ল অর্থমন্ত্রীর।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার হিডকোর দপ্তরে গিয়ে নতুন দায়িত্বভার বুঝে নেবেন তিনি। সেদিনই হিডকোর অফিসার ও ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শেষে জগন্নাথধামের ধাঁচে নিউটাউনে ‘দুর্গাঙ্গন’ তৈরির মতো মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত একাধিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবেন অর্থমন্ত্রী। নতুন দায়িত্ব পেয়ে চন্দ্রিমা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমায় এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ। জান-প্রাণ দিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব।”
এর আগে ‘হিডকো’র চেয়ারম্যান ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে গত ডিসেম্বরে হিডকোর দায়িত্ব নিজের হাতে নেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাইস চেয়ারম্যান করা হয় প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। একইসঙ্গে হিডকোকে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মিবর্গ দপ্তর অধীনে নিয়ে আসা হয়। মূল লক্ষ্য, হিডকোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দেখবেন। বস্তুত সেই কারণেই চন্দ্রিমার মতো একজন অনুগত-বিশ্বস্ত ‘ইয়েস-উওম্যান’কে হিডকো-তে নিয়ে আসা হল, নবান্নের ব্যাখ্যা।