কলকাতা, ১ আগস্ট : এসবিআই ইয়ুথ ফর ইন্ডিয়া ফেলোশিপে পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থীরা খুব আশাপ্রদ ফল দেখালেন। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোট ৭২ জন। এর মধ্যে এ রাজ্যের ৯ জন। তাঁদের ৭ জন বঙ্গললনা। ২ আগস্ট থেকে রাজস্থানের কিষাণগড়ে, তিলোনিয়ার বেয়ারফুট কলেজে শুরু হবে তাঁদের ‘ওরিয়েন্টেশন’। শনিবার থেকে ফেলোশিপের যে শিবির শুরু হচ্ছে তাতে আছেন পশ্চিমবঙ্গের সংজ্ঞা মহান্তি। লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে প্রাণীবিদ্যায় ভাল ফল করা এই ছাত্রী সদ্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি-তে জৈবরসায়ণে প্রথম শ্রেনী পেয়েছেন। তিনি জানান, জীবনপঞ্জী এবং প্রার্থীর আগ্রহ জেনে কোনও এনজিও-তে তিনি কাজ করবেন, কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত নেন। লক্ষ্য রাখা হয় নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির দিকে। নেপাল থেকেও এই ফেলোশিপের আবেদন আসে। ফেলোশিপের সাধারণ মেয়াদ এক বছরের। শ্রেনীকক্ষে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গ্রামীন অঞ্চলে গিয়ে প্রকল্প তৈরি করতে হবে তাঁদের। ফেলোশিপের দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছেন গোটা দেশের প্রায় ২৮ আবেদনকারী। এর মধ্যে আছেন পশ্চিমবঙ্গের অন্তত তিন জন। তাঁদের দু’জন বঙ্গললনা।
সূত্রের খবর, গোটা দেশে এই ফেলোশিপের জন্য আবেদনকারী ছিলেন প্রায় ৯০ হাজার। ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক। বয়স ২১ থেকে ৩২-এর মধ্যে। এর জন্য লিখিত পরীক্ষা হয় না। আবেদনপত্রেই লেখার প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা থাকে। যার ভিত্তিতে হয় বাছাই। ২০২৫-এ এই বাছাইয়ের পর সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয় ৯০০ জনকে। একাধিক দিন ধরে এই পর্ব চলে সকাল সাড়ে ন’টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। গোষ্ঠী আলোচনা, একক কথা, প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বদানের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেন অভিজ্ঞরা। এর পর দুই পর্যায়ে নির্বাচিত করা হয়েছে প্রায় ১০০ জনকে। আবেদন করতে হয় প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে। ইউটিউবে থাকে বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ। ১৩ মাস বাদে দেওয়া হয় শংসাপত্র। ভারতের ১৪টি নামী এনজিও-র সঙ্গে এ ব্যাপারে এসবিআইয়ের সমঝোতা আছে। ওই এনজিও-র অভিজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের দেখিয়ে দেন, কোথায়, কী ধরণের কাজ, কতটা করতে হবে। নির্বাচিতদের থাকা, যাতায়তের দায়িত্ব এসবিআইয়ের। এ ছাড়াও তাঁরা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসোহারা পান। মেয়াদ অন্তে এক লপ্তে আরও অর্থ। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে পাঠানো হয় ভিন রাজ্যে। এতে তাঁদের অন্তর্দৃষ্টি ও ভাবনার প্রসার হয়। পরবর্তীকালে তা নিজেদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেয়। সূত্রের খবর, যাঁরা নিজেদের নিষ্ঠা ও দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন, তাঁরা বিভিন্ন এনজিও-তে দায়িত্বের চাকরির সুযোগ পান। অর্জিত অভিজ্ঞতা তাঁদের বাড়তি মাত্রা দেয় এসবিআই প্রবেশনারি অফিসার-সহ প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন পরীক্ষায়।