Game

1 day ago

Father's Day 2025: “প্রথম ভরসা যাঁর কাছ থেকে পেয়েছি, তিনি আমার বাবা”—বাবাকে নিয়ে স্মৃতিমেদুর সচিন!

Sachin Tendulkar remembers his father Ramesh Tendulkar
Sachin Tendulkar remembers his father Ramesh Tendulkar

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ জুন, অর্থাৎ আজ ফাদার্স ডে। সারা বিশ্ব জুড়ে আজ পালিত হচ্ছে বাবাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর এই বিশেষ দিনটি। এই দিনটিকে ঘিরে নানা রকম আবেগ ও স্মৃতি সামনে আসে, আর সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন এক কিংবদন্তি – স্বয়ং ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ সচিন তেন্ডুলকর। আজকের এই বিশেষ দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার সঙ্গে নিজের একেবারে খুদে বেলার ছবি শেয়ার করে তিনি এক আবেগঘন বার্তায় লেখেন, 'সব সাধুবাদ, শতরানের আগে একজন ব্যক্তি ছিলেন যাঁর হাতে ছিল কলম ও মুখে হাসি। তিনি গোটা বিশ্বের আগে আমার ওপর ভরসা করেছিলেন। আমি ওঁর শান্ত মনোভাব, ওঁর  ভালবাসা আমার প্রতিটি পদে সঙ্গে নিয়ে চলি। হ্যাপি ফাদার্স ডে। তোমায় আমরা খুব মিস করি বাবা।'

সচিন তেন্ডুলকরের বাবা, রমেশ তেন্ডুলকর, ছিলেন একজন বিশিষ্ট মারাঠি কবি ও লেখক। সাহিত্য এবং সৃজনশীলতায় ভরপুর এই মানুষটির কাছে শৈশব থেকেই একটি অনন্য প্রেরণা পেয়েছিলেন সচিন। ১৯৯৯ সালে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলছিল। বাবার মৃত্যু সংবাদে দেশে ফিরে এলেও, কয়েকদিনের মধ্যেই দলের প্রয়োজনে সচিন আবার ফিরেছিলেন মাঠে। আর ফিরেই তিনি খেলেছিলেন তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস — কেনিয়ার বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪০ রান। সেই ইনিংস শেষে আকাশের দিকে তাকিয়ে ব্যাট উঁচিয়ে বাবাকে উৎসর্গ করেছিলেন  শতরানটি। সেই ছবি আজও কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে অমলিন। সচিনের এই অনন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি কেবলমাত্র ক্রিকেটের ইতিহাসেই নয়, একজন পুত্রের পক্ষ থেকে পিতার প্রতি ভালবাসার এক অনুপম নিদর্শনের সাক্ষী।

 

আজকের ফাদার্স ডে-তে এই ছবি ও বার্তার মাধ্যমে সচিন যেন তাঁর শৈশব, বাবার শিক্ষা এবং সম্পর্কের গভীরতাকে নতুন করে সামনে তুলে ধরলেন। তাঁর ভক্তরা সেই পোস্টে আবেগে ভাসিয়ে দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, “আপনার বাবা নিশ্চয়ই গর্বিত হতেন আপনাকে দেখে”, কেউ বা বলছেন, “আপনার পোস্ট আমাদের  চোখে জল এনে দিল”।

সচিন তেন্ডুলকরের মতো একজন আইকনের কাছ থেকে এমন আন্তরিক বার্তা কেবলমাত্র একজন ক্রিকেটার হিসেবে নয়, একজন সন্তান হিসেবে তাঁর মানবিক দিকটিকেও সামনে নিয়ে আসে। এই ফাদার্স ডে-তে তাঁর এই পোস্ট শুধু স্মৃতিচারণ নয়, বরং একটি বার্তা—ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা কখনোই  ফুরোয় না। বাবা সামনে থাকুন বা না থাকুন, তাঁদের প্রভাব, শিক্ষা আর আশীর্বাদ চিরকালই সন্তানদের সঙ্গে থাকে। আর ঠিক সেই কথাটিই আজকের বিশেষ দিনে আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রখ্যাত ক্রিকেটার সচিন। 

You might also like!