সোনারপুর, ২৪ আগস্ট : রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণপদ মন্ডলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক বিধবা মহিলা। তাঁর দাবি, কাউন্সিলর তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা তোলা দাবি করেন। টাকা না দিলে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযোগকারিণী মহিলার স্বামী জীবিত থাকাকালীন স্থানীয় বাজারে একটি দোকান চালাতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রথমদিকে ওই মহিলা সবজি বিক্রি করতেন। পরে জামাকাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সেই দোকান চালানোর সময় থেকেই নানাভাবে চাপ দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত টাকা না দিলে শ্লীলতাহানির হুমকি ও কুপ্রস্তাবের ঘটনা ঘটে বলে দাবি মহিলার। ঘটনার পর সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর কৃষ্ণপদ মন্ডল। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি চাই, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং সত্য প্রকাশ্যে আসুক।’’
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলী মৈত্রর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা সুনীপ দাস। তিনি জানিয়েছেন, কৃষ্ণপদ মন্ডল ছিলেন লাভলী মৈত্রর চিফ ইলেকশন এজেন্ট। তাই তাঁকে আড়াল করা হচ্ছে। বিজেপি নেতার দাবি, অবিলম্বে কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷
অন্যদিকে সিপিএমও এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। জনপ্রতিনিধি শব্দটাকে গালাগালির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ সিপিএম নেতা সায়ন ব্যানার্জীর। একজন গরীব মহিলাকে কুপ্রস্তাব ও ৫০ হাজার টাকা তোলা চাইতে হচ্ছে। বিধায়কের হাত এই কাউন্সিলরের মাথায় আছে। পুলিশ খুব একটা ব্যবস্থা কি নেবে, প্রশ্ন সায়নের।