
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠার পেছনে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর চারপাশের পরিবেশ, পরিবারের সদস্যদের আচরণ, কথা বলার ভঙ্গি ও দৈনন্দিন অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে তার মনোজগতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শৈশবকালের অভিজ্ঞতাই ভবিষ্যতে শিশুর চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠনে বড় ভূমিকা নেয়। তাই সন্তান বড় করে তোলার ক্ষেত্রে বাড়ির বড়দের আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি।
* বাচ্চাকে অবশ্যই ভদ্রতা শেখান। হঠাৎ কারও সঙ্গে দেখা হলে তাঁর সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতে বলুন আপনার সন্তানকে। অবশ্যই শেখান কুশল বিনিময় করতেও।
* বাচ্চাকে অবশ্যই নম্র হওয়া এবং একইসঙ্গে সৌজন্য বিনিময় শেখান। ভদ্রতা বজায় রাখতে বলতে শেখান ‘ধন্যবাদ’ এবং ‘প্লিজ’।
* যে কোনও খেলাধুলার শেষে বাচ্চাকে শেখান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার মতো বিষয়। এতে বাচ্চার দায়িত্ববোধ বাড়বে। বাড়িতে তারও যে কিছু দায়িত্ব রয়েছে তা যেমন শিখবে তেমনই ছোট থেকে দায়িত্ব নেওয়ার মতো বিষয়ও শিখবে সে।
* এই প্রজন্মের বাচ্চাদের মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবের মতো গ্যাজেটসে ভীষণরকম আসক্তি। এই আসক্তি যাতে মারাত্মক আকার ধারণ না করে তার জন্য স্ক্রিন টাইমের সময়সীমা বেঁধে দিন।
* খাবারের মূল্য বোঝান বাচ্চাকে। খাবার কখনও নষ্ট করতে নেই তা বাচ্চাদের শেখান। বাচ্চার বেড়ে ওঠায় খাবার, অর্থ এগুলির মূল্য বোঝা খুবই দরকার।
* বাচ্চাকে নমনীয় হতে শেখান। কথাবার্তা, শব্দ চয়ন, শরীরী ভঙ্গিমা সবেতে যেন ভদ্রতার ছাপ থাকে তা লক্ষ্য করুন। এবং তাকে নম্রভাবে কথা বলতে, মিথ্যা কথা না বলতে শেখান। এই সবকিছুই আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠায় বিশেষভাবে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে মা-বাবাকেও মেনে চলতে হবে একই বিষয়।
