
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুধর্মে রুদ্রাক্ষ বৃক্ষের মর্যাদা বিরাট। এই গাছ ব্যবহার করে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুত করা হয়। এই গাছের বীজই রুদ্রাক্ষ হিসেবে পরিচিত। সাধারণত এটি হিমালয় অঞ্চল, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালে জন্মায়, তবে যথাযথ পরিচর্যা করলে বাড়িতেও রুদ্রাক্ষ গাছ রোপণ করা যেতে পারে। কী পদ্ধতিতে আপনি আপনার বাড়িতে রুদ্রাক্ষ গাছ বৃদ্ধি করবেন?
সঠিক বীজ নির্বাচন করুন:
রুদ্রাক্ষ বীজ সুস্থ গাছের বৃদ্ধির ভিত্তি। তাই সঠিক বীজ নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাজা এবং ভালো মানের রুদ্রাক্ষ বীজ কিনুন। বীজ কেনার আগে দেখে নিন তা জলে ডুবে যায় কি না। যে বীজ ভেসে থাকে, তা অনুর্বর প্রকৃতির হয়। রোপণের আগে, এই বীজ ২৪-৪৮ ঘণ্টা হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে বাইরের খোসা নরম হয়, অঙ্কুরোদগমের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
কখন আদর্শ সময়:
রুদ্রাক্ষ গাছ বৃদ্ধির জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মাঝারি থেকে উচ্চ আর্দ্রতাযুক্ত অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত। দোআঁশ মাটি রুদ্রাক্ষ গাছের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। সব সময়ে কড়া রোদ ভালো নয়। আবার ছায়ায় রাখলেও চলবে না। তাই এমন জায়গায় গাছ রাখুন যেন দিনে ৪-৫ ঘণ্টা রোদ পায়। তা হলেই হবে।
বীজ রোপণ:
বীজ প্রস্তুত হয়ে গেলে, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মাটি এবং সার মিশিয়ে ভরা একটি পাত্রে রোপণ করুন। বীজগুলি মাটিতে প্রায় ১-২ ইঞ্চি গভীরে বপন করলেই হবে। মাটি আর্দ্র রাখুন কিন্তু জল জমে না থাকে। অতিরিক্ত জল পচনের কারণ হতে পারে। অঙ্কুরোদগম হতে সাধারণত ১-২ মাস সময় লাগে, তাই ধৈর্য রাখুন।
চারা:
চারা প্রায় ৬-১২ ইঞ্চি লম্বা হওয়ার পরে, সেগুলি একটি বড় টবে অথবা সরাসরি মাটিতে রোপণ করতে পারেন। রুদ্রাক্ষ গাছ ৫০-৮০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সেই রকম জায়গাতেই রোপণ করুন চারাগাছ।
ফুল ফোটা এবং ফল ধরা:
একটি রুদ্রাক্ষ গাছ সাধারণত ৩-৪ বছর বৃদ্ধির পর ফুল ফোটা শুরু করে। ছোট, সাদা ফুল ধরে, যা অবশেষে নীল রুদ্রাক্ষ ফলে পরিণত হয়। এই ফলের ভিতরের বীজ রুদ্রাক্ষ। এর পরে পাকা ফলের মণ্ড ছাড়িয়ে রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়।
