উত্তর ২৪ পরগণা, ১ জুন : ভাটপাড়া পুরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে সব জানানো হয়েছে। নেতৃত্ব জগদ্দল ভাটপাড়ায় যা ব্যবস্থা দরকার মনে করবেন, তাই হবে! আর কী? গুরুতর জখম সত্যেন রায়কে স্থানীয় হাসপাতালে দেখে আসার পর বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা সাংসদ অর্জুনবাবু এ দিন দলীয় কাউন্সিলরদের উপর ক্ষোভ উগরে দেন।
অর্জুনবাবু দলীয় কোঁদলের ব্যাপারে যথেষ্ট বিরক্ত। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুৰ্ভাগ্যজনক ঘটনা। সত্যেন দীর্ঘদিন সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ওই পরিবার বহুবার সিপিএমের হাতে আক্রান্ত হয়েছে, তাকেই করোনাকালে সৃষ্ট তৎকাল তৃণমূলের হাতে মার খেতে হল। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে? জেলা নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেও অর্জুনের আশঙ্কা।
সূত্রের খবর, বুধবার পুরসভার বৈঠকের আগে এবে বৈঠক চলাকালীন শাসকদলের কাউন্সিলররা গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ১০ নম্বর বোর্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের উপর আচমকাই চড়াও হন তৃণমূলেরই দুই কাউন্সিলর তরুণ সাউ এবং অভিমুন্য তিওয়ারি। পরে দুই গোষ্ঠীর অন্যান্যরাও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন।
সত্যেন রায়কে দেখে হঠাৎ তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অপর এক কাউন্সিলর তরুণ সাউ-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সত্যেন রায় স্থানীয় হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু ঘটনা প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও কাউন্সিলরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি। ঘটনাটি সম্পর্কে পুরসভার চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ঘটনা যখন ঘটেছে তখন আমি ছিলাম না। কিন্তু এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছি। এদিকে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কাউন্সিলর তরুণ সাহা বলেন, এদিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ঘটনা নয়। সত্যেন রায় নিজের জামা নিজে ছিঁড়েই মিথ্যে অভিযোগ করছে।
এমনিতেই জগদ্দল, ভাটপাড়া প্রভৃতি এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। ভাটপাড়া পুরসভাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে নাগরিক পরিষেবা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তার মধ্যে বুধবার পুরবৈঠকেই তৃণমূল কাউন্সিলররা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল।