নদিয়া, ২ মার্চ: ২০২২ সালের জুলাই মাসে পরিচালক লীনা মণিমেকলাইয়ের তথ্যচিত্র ‘কালী’ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বলেছিলেন, তাঁর কাছে কালী হলেন মদ-মাংস খান এমন দেবী। কালীকে হিন্দু ধর্মে ইচ্ছেমতো কল্পনা করার অধিকার রয়েছে। মহুয়ার ওই বক্তব্য নিয়ে সে সেময় বিতর্কের ঝড় উঠেছিল।
প্রায় দু'বছরের ব্যবধানে শনিবার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে নরেন্দ্র মোদীর সভা থেকে মহুয়ার ওই মন্তব্য তুলে ধরলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রধানমন্ত্রীর সভায় সংক্ষিপ্ত ভাষণে শুভেন্দুবাবু সরাসরি মহুয়ার নাম উল্লেখ করে জনতাকে বললেন, "মনে আছে তো আমাদের আরাধ্য দেবী মা কালীকে অপমান করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। এবারের ভোটে মহুয়ার ওই বক্তব্যের বদলা নিতে হবে ইভিএমে।"
সুকান্তবাবু অবশ্য সরাসরি মহুয়ার নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, "এখানকার সাংসদ বলেছিলেন, মা কালী নাকি মদ খান! লিপস্টিক, পাউডারের লোভে সাংসদ নিজের লগ ইন পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন। তারপরও তাঁকে জেলা সভাপতি করে রেখেছে তৃণমূল।"
এরপরই জনতার উদ্দেশে মহুয়া প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু জানতে চান, "ওঁকে হারাবেন তো? প্রধানমন্ত্রী অনেক আশা নিয়ে এসেছেন। আপনারা এখানে পদ্ম ফোটাবেন তো?" সুকান্তবাবুর সুরে উপস্থিত জনতা সমস্বরে জবাব দেন, 'হ্যাঁ'। তার কিছু পরে মঞ্চে ভাষণ রাখতে উঠে শুভেন্দুবাবুও উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, "কৃষ্ণনগর আমাদের দেবেন তো? তাতেও আসে ইতিবাচক জবাব।