বীরভূম, ২০ সেপ্টেম্বর : একটি পাঁচ বছরের শিশুকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে বস্তাবন্দি চার বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙ্গা গ্রামে। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
রবিবার বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙ্গা গ্রামে চার বছরের শিশু গ্রামের বাড়ির পাশে দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবারে তরফে নিহত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন। বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কুকুর নিয়ে আসে। খোঁজাখুঁজি করার পর অবশেষে মঙ্গলবার প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে নিহত শিশুর ক্ষতবিক্ষত বস্তা বন্দি অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়।
ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে নির্মমভাবে শিশুকে হত্যা করল, এর তদন্তে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। নৃশংস শিশু খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্ত বাড়িতে এদিন চড়াও হয় প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত প্রতিবেশী বেবি খাতুনের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভু ঠাকুর ও মমতা ঠাকুরের দুই ছেলের মধ্যে শুভম ছোট। শম্ভু পেশায় নাপিত। কর্মসূত্রে বেশির ভাগ সময়ই তিনি তাঁর সেলুনে থাকেন। মমতা বাড়ির কাজকর্ম সামলানোর সঙ্গেই ছেলেদের দেখাশোনা করতেন। দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ প্রতিবেশী রুবি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে।