দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ একটানা বৃষ্টি জেরে বিপর্যয় জাতীয় সড়কে। টানা বৃষ্টি ছেড়ে বারবার পাহাড় রাস্তায় দশ নেমেছে। বারবার ধসের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা-সিকিম জীবনরেখা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক । সড়কের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই সড়কে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পর্যটনে ৷
একমাসে পর্যটনে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা৷ চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৯ মাইলের শেতিঝোরা থেকে চিত্রে এলাকা ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। রবিঝোরা থেকে তিস্তাবাজার এলাকায় ধস সরিয়ে মেরামতের কাজ চলায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শিলিগুড়ি থেকে পানবু হয়ে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে।
প্রথমে অক্টোবরের হরপা বান তারপর এখন বৃষ্টিতে তিস্তার নদী গ্রাস করতে শুরু করেছে জাতীয় সড়ককে। মেরামত বা সংস্কার তো দূরের কথা, আগামীতে এই সড়কের অস্তিত্ব থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
জুন মাসের শুরু থেকে দফায় দফায় ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর বাংলা সিকিম যোগাযোগের একমাত্র জীবনরেখা ওই জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় ব্যাপক প্রভাব পরেছে উত্তরের পর্যটনে। খালি জুন মাসেই পর্যটনে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর এই ক্ষতির ফল যে সুদুরপ্রসারি তা নিয়ে সিদুরে কালোমেঘ দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
একটি পর্যটন নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “১০ নম্বর জাতীয় সড়কের জন্য উত্তরের বিশেষ করে পাহাড়ের পর্যটন ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। আর এই ক্ষতির প্রভাব পূজো পর্যন্ত থাকবে। আমাদের যা হিসেব তাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।” তিনি জানান, জুন মাসে যেখানে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বুকিং ভরতি থাকে। সেখানে বুকিং নেমে আসে ১৫ থেকে ২০ শতাংশে। জুলাই মাসে বর্ষার কারণে এমনিতেই বুকিং কমে ৬০ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু জাতীয় সড়কের কারণে তা নেমে এসেছে ৭ থেকে ১০ শতাংশে।”