দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার চতুর্থ দফার ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরপরই পশ্চিমবঙ্গের আটটি কেন্দ্রে ভোটদানের হারের যে তথ্য প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন, মঙ্গলবার চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশের পরে সেই হার বেশ কিছুটা বাড়ল। তবে তারপরেও ২০১৯-এর তুলনায় এবার এই আটটি কেন্দ্রে ভোটদানের হার কমই রইল। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গড় ভোটদানের হার এদিনের চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।
ভোট মেটার পরপরই পাওয়া হারের তুলনায় এই হার পাঁচ শতাংশের মতো বেড়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। যদিও কমিশনের ব্যাখ্যা, সন্ধে ছ’টার সময়েও অনেক বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন থাকে। ওই সময়ে লাইনে থাকা শেষ ব্যক্তিকেও নিয়ম মেনে ভোটদানের সুযোগ দিতে হবে। সেই পরিসংখ্যান আসাতেই এদিন ভোটদানের হার বেড়েছে। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই।
চতুর্থ দফায় রাজ্যের যে আটটি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছিল সেগুলি হলো—বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূম। কমিশনের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, সবমিলিয়ে চতুর্থ দফায় ভোট পড়েছে ৮০.২২ শতাংশ। তার মধ্যে বহরমপুরে ৭৭.৫৪ শতাংশ, কৃষ্ণনগরে ৮০.৬৫ শতাংশ, রানাঘাটে ৮১.৮৭ শতাংশ, বর্ধমান পূর্বে ৮২.৮৫ শতাংশ, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৮০.৭২ শতাংশ, আসানসোলে ৭৩.২৭ শতাংশ, বোলপুরে ৮২.৬৬ শতাংশ এবং বীরভূমে ৮১.৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
যদিও সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বহরমপুরে ৭৫.৩৬, কৃষ্ণনগরে ৭৭.২৯, রানাঘাটে ৭৭.৪৬, বর্ধমান পূর্বে ৭৭.৩৬, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৭৫.০২, আসানসোলে ৬৯.৪৩, বোলপুরে ৭৭.৭৭ এবং বীরভূমে ৭৫.৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
কমিশনের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, চতুর্থ দফায় বহরমপুরের একটি বুথে রাত সওয়া ন’টা পর্যন্ত ভোট হয়েছে। অনেক জায়গাতেই একইরকম ছবি ছিল। প্রথম দফাতেও দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বিকেল পাঁচটার পর প্রকাশিত তথ্যের তুলনায় চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে প্রায় ৫ শতাংশের কাছাকাছি ভোটদানের হার বেড়ে গিয়েছিল।
ভোটদানের এই হার নিয়ে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘বিকেলের পর ভোটের লাইনে কম লোক থাকেন। কেউ কেউ আবার কাজ সেরে বিকেলে ভোট দিতে বেরোন। বিকেলে ভোটদানের হার বাড়ার সেটাও একটা অন্যতম কারণ। তবে এটা নতুন কিছু নয়।’
তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘ভোট পরিচালনার দায়িত্ব কমিশনের। কেন রাত পর্যন্ত ভোট করতে হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যা কমিশন ভালো দিতে পারবে। আমরা চাই, ভোটে স্বচ্ছতা থাকুক।’ এদিকে বাংলায় সাত দফার ভোটের জন্য প্রথমে ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হলেও আগামী দফাগুলি মিলিয়ে সেই সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ১১২০ কোম্পানি।