মুর্শিদাবাদ, ৪ সেপ্টেম্বর : গরু পাচার মামলায় ইনামুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জেনারুল শেখকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। রবিবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জে। ধৃতকে আজই আদালতে পেশ করা হবে ।
সূত্র জানায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় জেনারুল শেখের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বিএসএফ-এর একাংশের সহায়তায় সরকারি অ্যাকাউন্টে বিস্তারিত নথিভুক্ত না করেই সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ কাজে জেনারুল শেখ গরু পাচারের মূল হোতা ইনামুলকে সঙ্গ দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, শনিবার আবদুল বারিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জয় মালিককে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। কয়লা পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সঞ্জয় মালিককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এরপর গরু চোরাচালানেও তার নাম জড়ায়। ২০১৯ সালে, তার বিরুদ্ধে গরু পাচারের ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে জলঙ্গি থানা এলাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বসিরহাট জেলা পুলিশ তাকে মুর্শিদাবাদ আদালতে পেশ করে সেখান থেকে তাকে সিজিএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গরু চোরাচালান মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় সিআইডি। পরে সিজিএম অপর্ণা চৌধুরী সাত দিনের রিমান্ডে সিআইডি হস্তান্তর করেন।
সঞ্জয় ও আবদুল এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ পুরনো। পুলিশ ও বিএসএফ এবং পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আব্দুল বারিকের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করা হয়। গরু চোরাচালান মামলায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বারিকের সঙ্গে এই ভালো সম্পর্কের কথা জানতে পারে সিআইডি। এরপর তদন্তে উঠে আসে সঞ্জয়ের নাম। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।