মালদা, ১৮ নভেম্বর : নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন স্বামী। কোনওভাবেই স্বামীকে শুধরতে না পারায় বিয়ে ভাঙেন স্ত্রী। সেই রাগ থেকেই প্রাক্তন স্ত্রীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামীকে আটকাতে গিয়ে ছুরিকাহত ওই মহিলার জামাইবাবুও। স্থানীয় বাসিন্দারা কোনওমতে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। এরপর চলতে থাকে গণধোলাই। বর্তমানে তিনজনই মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজারের মীরচক এলাকায়।
আক্রান্ত মহিলার নাম লিজা খাতুন। বাড়ি মীরচক এলাকায়। কালিয়াচকের একটি মোটর বাইকের শোরুমে কাজ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে লিজার সঙ্গে বিয়ে হয় অমিত শেখ ওরফে আমিনের (৩১)। অভিযোগ, অমিত মাদকের নেশায় আসক্ত। এ নিয়ে প্রায়শই পরিবারে ঝামেলা লেগে থাকত।
বছর খানেক আগে মাদকাসক্ত স্বামীর থেকে মুক্তি পেতে ডিভোর্স নেওয়ার কাজ শুরু করেন লিজা। এরই মধ্যে অমিতের নেশা ছাড়াতে পরিবারের লোকজন তাঁকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়। কয়েকদিন আগে অমিত বাড়ি ফেরেন।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ফের নেশা করেন অমিত। রাত ৯টা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে লিজার শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরির কোপ মারেন তিনি। চিৎকার শুনে ছুটে যেতে গিয়ে অমিতকে পালাতে দেখেন লিজার জামাইবাবু দিলীপ শেখ (৩৭)। অমিতের পেছনে ধাওয়া করেন তিনি৷ এরপর রাস্তার মোড়ে অমিতকে ধরে ফেলেন দিলীপ। সেখানেই দিলীপকেও ছুরির কোপ মারেন অমিত বলে অভিযোগ ।
বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা অমিতকে ধরে গণধোলাই দিতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে অমিতকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে তিনজনই মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।