জলপাইগুড়ি, ২১ জানুয়ারি : চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। আরও এক শিক্ষককে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ির আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া থেকে শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ি রথখোলা রবদাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কৃতের শিক্ষক পঙ্কজ বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে গত ১০ তারিখ একই অভিযোগে জলপাইগুড়ির আমবাড়ির চিন্তামোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক সন্তোষ বর্মনকে গ্রেফতার করে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। শনিবারই দশদিনের পুলিশ হেফাজত শেষ হচ্ছে সন্তোষ বর্মনের। তাকে জেরা করেই এই চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে শিক্ষক পঙ্কজ বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তিন বছর আগে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে দশজন বেকার যুবকের কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা করে নেয় অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরতের দাবি করলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক নানা ভাবে ঘুরিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ।
অন্যতম অভিযোগকারী যুবক বাপ্পা মালাকার জানান, তিন বছর আগে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর মতো দশজনের কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা করে নেন আমবাড়ি চিন্তামোহন হাই স্কুলের বাংলার শিক্ষক সন্তোষ বর্মন। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে নানা ভাবে তাঁদের ঘোরানো হচ্ছিল। সোমবার রাতে ওই শিক্ষককে পেয়ে তাঁরা আটকে রাখেন। পরে পুলিশ ডেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেওয়ার পর আমবাড়ি চিন্তামোহন হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন কোচবিহারের বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। কয়েক বছর আগে শিলিগুড়ি সংলগ্ন আশিঘর এলাকায় বাড়ি তৈরি করেন তিনি। বাড়ি, গাড়ি সবই রয়েছে। গত কয়েক বছরে তাঁর জীবনযাত্রার মান বদলে গিয়েছে বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। অভিযোগকারী বাপ্পা মালাকার জানান, চাকরি দেওয়ার নাম করে দেড় কোটি টাকারও বেশি তুলেছেন ওই শিক্ষক। ওই প্রতারণা চক্রে ওই শিক্ষকের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তোষের পর পঙ্কজ বর্মনকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁকে জেরা করে প্রতারণা চক্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।