দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সান্দাকফুতে (Sandakphu) গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে যেতে না যেতেই মৃত্যুর (Tourist Death) কোলে ঢলে পড়লেন কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) ২৯ বছরের যুবক তন্ময় কুণ্ডু।বন্ধুদের সঙ্গে গত শুক্রবার সান্দাকফুর উদ্দেশে রওনা হয়ে টুমলিংয়ে পৌঁছন তিনি। এক রাত টুমলিংয়ে কাটিয়ে তাঁরা পরদিন, শনিবার সান্দাকফুতে পৌঁছন। ২৭ মে সোমবার অন্য ছয় বন্ধুর সঙ্গে সান্দাকফু থেকে মানেভঞ্জন হয়ে শিলিগুড়িতে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
ওই দিন সকালে তন্ময়ের প্রথমে পেটে ব্যথা, পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যে লজে তাঁরা উঠেছিলেন, সেখানেই পাশের রুমে এক পর্যটক ছিলেন যিনি পেশায় চিকিৎসক। তিনি তন্ময়কে পরীক্ষা করার পরেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বন্ধুরা তন্ময়কে নিয়ে মানেভঞ্জন হয়ে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সুখিয়াপোখরি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করার পরে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতেই তন্ময়ের মৃতদেহ দার্জিলিং সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার পরিবারের লোকেরাও দার্জিলিংয়ে পৌঁছন। ওই ঘটনায় দার্জিলিং জেলা প্রশাসন এবং জিটিএ প্রশাসনের কর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন। আধিকারিকদের অনুমান, সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের প্রান্তে ১১,৯২৯ ফুট উচ্চতার সান্দাকফুতে যাওয়ার জন্য শারীরিক ভাবে সক্ষম ছিলেন না বেশ ভারী চেহারার তন্ময়।
কিন্তু মানেভঞ্জনে পর্যটকদের শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করার এখনও কোনও সরকারি পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। তন্ময়ের ঘটনার পরে এ বার পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
একটি পর্যটন সংস্থার কর্তা সৌমিত্র কুণ্ডু বলেন, 'অ্যাডভেঞ্চার ট্রেকিং সকলের জন্য নয়। কিন্তু ইদানীং অনেকেই সান্দাকফু, কিংবা নাথুলার মতো পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে যাচ্ছেন যেখানে শারীরিক ভাবে সক্ষম থাকাটা জরুরি। তন্ময়ের ক্ষেত্রে কী হয়েছে সেটা চিকিৎসক এবং প্রশাসনিক কর্তারা বলতে পারবেন।'