অতিরিক্ত জেলাশাসকের শোবার ঘরের এসির মুখ থেকে কিলবিল করে বেড়িয়ে আসছে একের পর এক সাপ। আর তা দেখে রীতিমত চক্ষু চড়ক গাছ খোদ অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনিন্দ্য সরকারের। পরিবার নিয়ে ঘরের এক কোনায় লাফিয়ে চলে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক। এরপরই খবর যায় সর্প বিষারদ নিতাই হালদারের কাছে। যেমনটি ফোন তেমনি কাজ। পুরাতন মালদা থেকে মোটরবাইক নিয়ে ছুটে আসেন সর্প বিশারদ নিতাই হালদার। ইংরেজবাজার শহরের মাধবনগর এলাকায় অতিরিক্ত জেলা শাসকের বাংলোতে গিয়েই একের পর এক সাপ উদ্ধার করতে থাকেন নিতাইবাবু। যদিও উদ্ধার হওয়া ৮টি সাপ বিষধর নয় বলেই জানিয়েছেন সর্প বিষারদ নিতাই হালদার। তিনি বলেন, এগুলি হচ্ছে ঘরোয়া বাতাচিতি । মূলত ঠান্ডা জায়গা পাওয়ার কারণেই বাসা বেঁধে থাকে এই ধরনের সাপ। শীতের মরশুমের কারণে এসি না চলায় সেখানে বাসা বেধে প্রজনন ঘটিয়েছে এই ধরনের সাপ। কিন্তু সাপ বিষধর হোক বা না হোক, দেখলেই আতঙ্ক তাও আবার অতিরিক্ত জেলাশাসকের বাংলোয়। গতকাল রাতে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জেলার প্রশাসনিক পদস্থ কর্তা তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনিন্দ্য সরকার। তিনি বলেন , চৈত্রের গরমে এদিন শোবার ঘরের এসিটা চালাতে শুরু করেছিলাম। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি । কিলবিল করে একের পর এক সাপ বেরিয়ে আসে। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এতগুলো সাপ কিভাবে এসির মধ্যে ঢুকে পড়লো কিছুই বুঝতে পারছি না। যাই হোক যথা সময়ে বনদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে একজন সর্প বিষারদ বাংলোতে এসে সাপগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন। সাপের বিষ আছে কিনা জানা নেই। কিন্তু সাপ দেখে পরিবারের সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেই আশায় রাখছি। নতুন করে বাংলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।