দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: উইকেন্ডে অর্থ্যাৎ ছুটির দিন সকলেরই কিছু না কিছু প্ল্যান থাকে। সারা সপ্তাহের কর্মক্ষেত্রে চূড়ান্ত চাপের পর সকলেরই মানসিক বিশ্রামের একান্ত প্রয়োজন। আর এই মানসিক শান্তির অন্যতম কার্যকরী উৎস ভ্রমণ। উইকেন্ডকে কেন্দ্র করে যারা ভ্রমণের স্বাদ নিতে ভালোবাসেন, তারা জানেন এই ধরনের ট্যুরের রোমাঞ্চ। তবে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লেই তো হবেনা, ভ্রমণের আগে প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা। তাই আজকের প্রতিবেদনে আপনার সুবিধার্থে রইল বাংলার কিছু অফবিট গন্তব্যের ঠিকানা। চটপট চোখ বুলিয়ে নিন, আর আপনার উইকেন্ড উপভোগ করুন মনের মতন করে।
১. তিনচুলে: পাহাড়ি এলাকা প্রিয় হলে দার্জিলিং জেলার তিনচুলে মিস করা মোটেই উচিত হবে না। বাইকে করে পৌঁছে যেতে পারেন এই ছোট্ট গ্রামে। তিনচুলে,তাকদা লামহাট্টা ঘুরে আসতে পারেন অতি স্বল্প খরচেই।
২. জয়পুর ফরেস্ট: গাছগাছালি বেশ প্রিয় স্থান? বাঁকুড়ার জয়পুর ফরেস্ট থেকেও ঘুরে আসতে পারেন দুদিনের ছুটিতে। রিসর্টে থাকলে খরচ পড়বে একটু বেশি। কিন্তু নিরিবিলি এই জগতের আনন্দ শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি দেবে।
৩. চিলাপাতা ফরেস্ট: চিলাপাতা হলো আলিপুরদুয়ার জেলার ডুয়ার্সের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কাছে অবস্থিত একটি ঘন জঙ্গল। দুদিনের সফরের জন্য আদর্শ স্থান এটি।
৪. বকখালি: দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দা হলে আর সমুদ্র ভালবাসলে কাছেই রয়েছে বকখালি। ভিড়টা দীঘার মতো ওতটা নয়। হোটেলও সস্তা। এক রাত কাটালে পকেটের বেশি অর্থ খসবে না।
৫. বিষ্ণুপুর: মল্লরাজাদের নির্দশন রক্ষা করছে বাঁকুড়ার এই শহর। একভাবে এই শহরকে ঐতিহাসিক শহরও বলা যায়। তাই বিষ্ণপুরেও ঘুরে আসতে পারেন সপ্তাহের শেষে। একদিন থাকলে শহরের প্রধান ঐতিহাসিক স্থানগুলিও ঘুরে ঘুরে দেখা সম্ভব।
৬. মন্দারমনি: দীঘার ভিড় এড়াতে একটু বেশি খরচ করে চলে যেতে পারেন মন্দারমনি। সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। সপ্তাহ শেষের একটি দিন কাটবে নোনাবালির দেশে।
৭. টাকি: বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে অনেকটা জড়িয়ে এই অংশ। মূলত শীতকালে পিকনিকের জন্য এই স্থান বিখ্যাত। কিন্তু বছরের যেকোনও সময় যেতে পারেন ইছামতীর তীরে।
৮. সামসিং: বাংলা ভুটান সীমান্তে অবস্থিত একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম সামসিং। এখানে এত গরম নেই। দু-তিনদিনের ট্রিপ করলে অনায়াসে ঘুরে আসা যায় সামসিং থেকে। শহরের কোলাহল থেকে কদিনের জন্য মিলবে রেহাই।