দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে হনুমান জয়ন্তী একটি গুরুত্বপর্ণ দিন। ১২ই এপ্রিল অর্থাৎ আজ দেশজুড়ে হনুমান জয়ন্তী পালিত হচ্ছে এবং এই দিনে যথাযথ আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বজরঙ্গবলীর পূজোও অংশগ্রহণ করছেন ভক্তরা। অনেকেই মনে করেন হনুমানজির আরাধনা ভক্তিভরে করলে জীবন সুখশান্তি,সমৃদ্ধি-তে পরিপূর্ণ হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অনেকেই মনে করেন,হনুমানজি সর্বদা তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন। আজও, এমন অনেক ঐশ্বরিক স্থান দেখা যায় যেখানে হনুমানজি বাস করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। আজকের প্রতিবেদনে,আমরা আপনাকে এমন কিছু পবিত্র স্থান সম্পর্কে বলব, যেখানে বজরঙ্গবলীর বাস করে বলে বিশ্বাস করা হয় এবং সেখানে গেলে অনেক সমস্যাও দূর করা যায়। তবে চলুন জেনে নিই,
১) হনুমান গড়ি মন্দিরঃ হনুমানগড়ি মন্দির অযোধ্যায় অবস্থিত । ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই মন্দিরে হনুমানজির দর্শন করলে ভক্তের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। এছাড়াও, ভগবানকে লাল ছোলা নিবেদন করলে সকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হনুমানগড়ি মন্দিরকে বজরঙ্গবলীর মন্দির বলে মনে করা হয়। ভগবান শ্রী রামের দর্শনের আগে ভক্তরা হনুমানজির দর্শনের জন্য হনুমানগড়ি মন্দিরে যান। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমানজি হনুমানগড়ি থেকে অযোধ্যাকে রক্ষা করেন।
২) পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরঃ পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে অবস্থিত। এই মন্দিরে হনুমানজির পঞ্চমুখী অবতারের মূর্তি রয়েছে, যা ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই মন্দিরে ঈশ্বরের কাছে করা সমস্ত প্রার্থনা শীঘ্রই পূর্ণ হতে পারে। হনুমানজির দর্শন পেতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, হনুমানজি অহিরাবানকে বধ করার জন্য পঞ্চমুখী অবতার ধারণ করেছিলেন।
৩) হনুমান ধারাঃ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সোনার লঙ্কায় আগুন লাগানোর পর, হনুমান জি তাঁর লেজের আগুন নিভানোর জন্য উত্তর প্রদেশের চিত্রকূটে পৌঁছেছিলেন, যার কারণে এটিকে হনুমান ধারা বলা হয়। এখান থেকে ঝর্ণার এক অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। এই স্থানটি হনুমানজির শক্তির সাথে জড়িত।
৪) মানস সরোবর হ্রদঃ মানস সরোবর হ্রদ তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে কৈলাস পর্বতের কাছে অবস্থিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, হনুমান জি কৈলাস পর্বতে যাত্রার সময় মানস সরোবর হ্রদও পরিদর্শন করেছিলেন। মানস সরোবর হ্রদ হনুমানজির পবিত্র স্থানগুলির মধ্যে একটি।
৫) গন্ধমাদন পর্বতঃ শ্রীমদ ভাগবত পুরাণ অনুসারে, বজরঙ্গবলী গন্ধমাদন পর্বতে বসবাস করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। গন্ধমাদন পর্বত কৈলাস পর্বতের উত্তরে অবস্থিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই পর্বতটি মহর্ষি কাশ্যপ, গন্ধর্ব, কিন্নর এবং অপ্সরাদের আবাসস্থল বলে মনে করা হয়। এই পাহাড়ে একটি মন্দিরও রয়েছে, যেখানে হনুমানজি এবং ভগবান শ্রী রামের মূর্তি রয়েছে।
৬) অঞ্জনাদ্রি পাহাড়ঃ কর্ণাটকের হাম্পিতে রয়েছে অঞ্জনাদ্রি পাহাড়। এই স্থানটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মা অঞ্জনী এই স্থানে হনুমানজির জন্ম দিয়েছিলেন। এখানে পাহাড়ে একটি মন্দির আছে, যেখানে সন্তানের জন্মের জন্য প্রার্থনা করা হয়।