কলকাতা : “যাহা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাহাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ জানি না বলে সাধু সাজলে হবে না।’’ এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও।
সেলিমের যুক্তি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীই বলতেন ২৯৪ কেন্দ্রে উনিই প্রার্থী। অতএব বেহালা পশ্চিমে উনিই প্রার্থী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এখন ‘সাধু’ সাজার চেষ্টা করছেন। সেলিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেছেন, উনি কিছু জানতেন না। এ দিকে, এই মুখ্যমন্ত্রী সব জেলায় প্রশাসনিক সভায় বলেন, সব খবর তাঁর কাছে সরাসরি আসে। ওঁর দলের মুখপাত্রও তো বলেছেন, দলের কাছে খবর ছিল টাকা তোলা হয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরের সভায় বলেন, ‘‘কেউ যদি ভুল করে, তার দায়িত্ব আমরা কেন নেব। যে মানুষটা জানেই না কী হয়েছে... আমার নামে কুৎসা করছে। জেনেশুনে আমি কারও চাকরি খাই না। অনেক বদহজম সত্ত্বেও সিপিএমের কারও চাকরি খাইনি। কারণ আমি বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই।’’ অন্যদিকে সিপিএমের বক্তব্য, এর দায় মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন না।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরি চলে গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। চাকরিহারাদের একাংশের প্রশ্ন, কেন যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করে এই রায় দেওয়া হল না? কেন অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি চলে গেল?
সেই বিতর্কের আবহেই সোমবার চাকরিহারাদের একাংশের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, যোগ্য কারও চাকরি যাবে না। তাঁর সরকার আবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে। রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাচ্ছে।